চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের ভিত্তিপ্রস্তর ২০২৩ সালের শুরুতে, আশা তথ্যমন্ত্রীর

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যাতে আগামী বছরের শুরুতে চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারেন, সেজন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ এই বছরেই শেষ করতে হবে।

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অনুষ্ঠিত ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর পরিবহন মাস্টার-প্লানসহ মেট্রোরেলের সমীক্ষার প্রিলিমিনারি সার্ভে কাজ’ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় তথ্যমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। 

সভায় জানানো হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা কোইকা চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করবে। এতে ব্যয় হবে ৭৭ কোটি টাকা।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, পুরনো চট্টগ্রাম শহরের সদরঘাট, চকবাজার ও বহদ্দারহাট ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এখানে মেট্রোরেল আন্ডারগ্রাউন্ডে করা যেতে পারে। খরচ তিন গুণ বেশি হলেও এটাই প্রাধান্য দেওয়া উচিত। অন্য এলাকায় ওপর দিয়ে তা করা যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামে মেট্রোরেল করার বিষয়ে সাধারণ জনগণের কোনও দাবি না থাকলেও প্রধানমন্ত্রী দুই-আড়াই বছর আগে এ বিষয়ে আলাপ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যৎ দেখতে পান। 

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম একটি সৌন্দর্যপূর্ণ শহর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছেন। সবদিকেই উন্নয়ন চলছে। চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের প্রয়োজন রয়েছে। উন্নয়ন করতে হলে আমাদের ভোগান্তি পোহাতেই হবে। তবে জনভোগান্তি যাতে কম হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

চট্টগ্রাম সিটির সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে করতে হলে সুন্দরভাবে সমন্বয় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গিতে কাজ করা যাবে না। কোনও একজন প্রতিনিধি পাঠিয়ে দিয়ে দায় সারলে হবে না। জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।  

পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল মালেক বলেন, কাজ করতে গেলে সমস্যা আসবে। সেটা চিহ্নিত করে সমাধানের পথে এগিয়ে যেতে হবে। চট্টগ্রামকে সুন্দর করার জন্য আমাদের কাজ সঠিকভাবে করতে হবে। এখানে যদি কোনও বিচ্যুতি ঘটে তবে সেটা আমাদের জন্য দুঃখজনক হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে সবার সমন্বয় প্রয়োজন।