পুরো উপজেলায় একমাত্র জিপিএ-৫ পেলেন দীপা

এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার শারীরিক প্রতিবন্ধী দীপা নন্দী। মামা-মামির অভাবের সংসারে থেকেও এ ফল অর্জন করেছেন অদম্য এই তরুণী। পানছড়ি উপজেলায় এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া একমাত্র শিক্ষার্থীও দীপা নন্দী।

সে পানছড়ি সরকারি ডিগ্রি কলেজের ব্যবসা শাখা থেকে ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এ সাফল্য পান। দীপা এর আগে পানছড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে এসএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। সেবার এসএসসিতে উপজেলায় একমাত্র জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী ছিলেন দীপা। এ ছাড়া পিইসি এবং জেএসসিতেও তার ঝুলিতে জমা পড়েছিল জিপিএ-৫।

দীপার মা-ও মানসিক ভারসাম্যহীন। তাই তার ঠাঁই হয়েছে মামা-মামির অভাবের সংসারে। মামা সঞ্জয় দাশ আর মামি চুমকি বিশ্বাসের আশ্রয়ে থেকেই দীপা নন্দী একের পর এক সাফল্য এনে তাক লাগাচ্ছে পুরো উপজেলায়। অদম্য অভিপ্রায় আর কঠোর অধ্যবসায়ই দীপার সাফল্যের নেপথ্য রহস্য বলে জানিয়েছেন তার মামি চুমকি বিশ্বাস।

স্কুল-কলেজ পেরিয়ে দীপা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পা বাড়াবে। দীপার ইচ্ছে ব্যাংকার হওয়ার। তবে মাঝখানটায় বিপত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে আর্থিক অনটন। সহায়তা ছাড়া দীপার এই স্বপ্ন অধরাই রয়ে যাবে, এমনটাই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মামা সঞ্জয় দাশ।

দীপার উচ্চশিক্ষার জন্য সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান। তিনি বলেন, ‘দীপার এমন সাফল্য একইসঙ্গে আনন্দের, অনুকরণীয় এবং ঈর্ষান্বিত। সহায়তা পেলে ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে সে। আমরা সবসময় তার পাশে থাকবো।’

এদিকে দীপার ধারাবাহিক সাফল্যে কলেজের শিক্ষক, সহপাঠী, স্থানীয়রা এবং পরিবারের সদস্যরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।