মাকে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দিলো ছেলে

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মাকে হত্যার পর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছেলের। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতের কোনও এক সময় ছেলে মিলন (২৬) তার মা ফাতেমা বেগমকে (৬০) হত্যা করে বলে জানায় পুলিশ ও এলাকাবাসী।

সকালে পুলিশ পুড়ে যাওয়া লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় মিলনকে আটক করেছে পুলিশ।

রামগঞ্জের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আশারকোটা গ্রামের ওহাদ আলী ব্যাপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফাতেমা বেগম ওই বাড়ির মৃত আলী আকবরের স্ত্রী। তার তিন ছেলে রয়েছে। মিলন তার ছোট ছেলে। বড় ছেলে সৌদি প্রবাসী ও মেজো ছেলে ঢাকায় থাকেন।

নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. নুরুল আমিন দাবি করেন, মিলন মানসিকভাবে অসুস্থ। বাড়িতে সে এবং তার মা একাই বসবাস করতো। বুধবার সন্ধ্যায় ফাতেমা বাপের বাড়ি থেকে আসে। রাতে তারা ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। রাতের কোনও একসময় মিলন তার মাকে হত্যা করে লাশ কম্বলে পেঁচিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। ফজরের নামাজের সময় বাড়ির অন্য লোকজন ঘুম থেকে উঠলে ওই ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন এবং গন্ধ পান।

তিনি আরও বলেন, এ সময় তারা গিয়ে দেখেন, ফাতেমার লাশ তখনও আগুনে পুড়ছে। পাশেই ছেলে মিলন বসা। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ পুড়ে যাওয়া লাশ উদ্ধার করে। আগুনে লাশের অনেকাংশ পুড়ে গেছে।

রামগঞ্জ থানার ওসি এমদাদ হোসেন জানান, এ ঘটনায় মিলনকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।