সেন্টমার্টিনে ১২০০ পর্যটকের বেশি যেতে মানা

সেন্টমার্টিন দ্বীপকে আরও সুন্দর করে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ১৩ সুপারিশ বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে। প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন রক্ষায় সেখানে নতুন করে আর কোনও হোটেল ও অবকাঠামো করতে দেওয়া হবে না। দ্বীপের পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা ও ইকোট্যুরিজম উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনাসহ দ্বীপবাসীর কথা চিন্তা করে এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় কেন্দ্রে ১৩টি সুপারিশ বাস্তবায়নে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম। সভা পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদফতরের মহা-পরিচালক ড. আব্দুল হামিদ, চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ, টেকনাফের ইউএনও পারভেজ চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এরফানুল হক চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ম্যাজিস্ট্রেট) নিরুপম মজুমদার, সেন্টমার্টিন বিজিবির বিওপির কমান্ডার ক্যাপ্টেন মাসুদুর রহমান, কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লে. তারেক আহমেদ, পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সারওয়ার আলম, ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান প্রমুখ।12

পরিবেশ অধিদফতরের বরাত দিয়ে সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম বলেন, ‘দ্বীপের পরিবেশ অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এখন পর্যন্ত ৯৬০ থেকে ১২০০ পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণে যেতে পারবেন। এর বেশি যাওয়া যাবে না।’

এই সভা ছোট হলেও এটির গুরুত্ব বেশি উল্লেখ করে আলী আজম বলেন, ‘দ্বীপ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। সেটি বাস্তবায়নে আমরা সবাই মিলে কাজ করছি। মূলত দ্বীপে জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা, ইকো ট্যুরিজম উন্নয়ন এবং নতুন স্থাপনা বন্ধসহ সরকার খুব দ্রুত একটি নীতিমালা তৈরি করবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এসব নীতিমালা বাস্তবায়ন করা হবে।’

পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ বলেন, ‘দ্বীপে পরিবেশ রক্ষায় সব শ্রেণিপেশার মানুষের পাশাপাশি স্থানীয়রাও কাজ করে যাচ্ছে। দ্বীপে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে পরিবেশগত কাজ চলমান রয়েছে। এখন থেকে আমাদের টিম সব সময় কাজ করবে।’

চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৩ সুপারিশ বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদফতর কাজ করছে। দ্বীপ রক্ষায় এখন থেকে বর্ষা মৌসুমেও আমাদের লোকজন কাজ করবে।’

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপে নতুন করে কোনও অবৈধ স্থাপনা করা যাবে না। দ্বীপের ব্যবস্থাপনার কমিটির মাধ্যমে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এই দ্বীপকে পরিচ্ছন্ন রাখবো। সরকার যে নীতিমালা করেছে, সেটি বাস্তবায়ন করা হবে।’