সরকারের ১০৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা 

১০৫ কোটি ৯ লাখ ৯৩ হাজার ৭০ টাকা আত্মসাৎ ও সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে পণ্য খালাসের অভিযোগে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

শনিবার (৫ মার্চ) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এ মামলাগুলো দায়ের করা হয়। 

দুদক প্রধান কার্যালয়ের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-১ এর উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলা তিনটি করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৮ সালের বিভিন্ন সময়ে জালিয়াতি ও ১০৫ কোটি ৯ লাখ ৯৩ হাজার ৭০ টাকা শুল্ক ফাঁকির ঘটনা ঘটেছে। এসব অভিযোগের অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত। 

দায়ের করা মামলার একটিতে সরকারের ৫৬ কোটি ৬৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৭৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। এতে মেসার্স জারার এন্টারপ্রাইজের মালিক মাহবুবুর রহমান, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স চাকলাদার সার্ভিসের মো. হাবিবুর রহমান অপু, গ্রাহক মো. আব্দুল গোফরান, হামীম গ্রুপের কম্পিউটার অপারেটর মো. জহুরুল ইসলাম, গ্রাহক আবুল কালাম, কাস্টম হাউজের প্রাক্তন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুন্নাহার জনি, প্রাক্তন রাজস্ব কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম, রাজস্ব কর্মকর্তা সুলতান আহম্মদ, কম্পিউটার অপারেটর ফিরোজ আহমেদ, উচ্চমান সহকারী আব্দুল্লাহ আল মাছুম ও অফিস সহায়ক সিরাজুল ইসলামকে আসামি করা হয়। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে ৫টি চালানে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে উচ্চ শুল্কহারযুক্ত পণ্য সিগারেট আমদানি করে তা খালাসপূর্বক সরকারের ৫৬ কোটি ৬৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৭৫ টাকা আত্মসাৎ করেন। 

আরেক মামলায় পোশাক কারখানার বাটন ও সেফটিপিন ঘোষণা দিয়ে সিগারেট আমদানি করে ৩২ কোটি ২৭ লাখ এক হাজার ৬৪৫ টাকা রাজস্ব আত্মসাৎ করা হয়। এই মামলায় আমদানিকারক মো. সালাউদ্দিন টিটো, সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট মেসার্স চাকলাদার সার্ভিসের মালিক হাবিবুর রহমান চাকলাদার, আবুল কামাল, সহকারী প্রোগ্রামার কামরুল হক, রাজস্ব কর্মকর্তা সুলতান আহমদ, কম্পিউটার অপারেটর ফিরোজ আহমেদ, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী আবদুল আল মাছুম ও অফিস সহায়ক সিরাজুল ইসলামকে আসামি করা হয়।  

অপরদিকে, ১৬ কোটি ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৭৫০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরও একটি মামলা করা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে মিজানুর রহমান চাকলাদার, মফিজুল ইসলাম লিটন, মুভিং ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক আব্দুল হান্নান দেওয়ান, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স চাকলাদার সার্ভিসের মো. হাবিবুর রহমান অপু, আব্দুল গোফরান, হামীম গ্রুপের কম্পিউটার অপারেটর জহুল ইসলাম, কাস্টম হাউসের সহকারী প্রোগ্রামার কামরুল হক, রাজস্ব কর্মকর্তা সুলতান আহম্মদ, কম্পিউটার অপারেটর ফিরোজ আহমেদ, উচ্চমান সহকারী আব্দুল্লাহ আল মাছুম ও অফিস সহায়ক সিরাজুল ইসলামকে। 

এই মামলার এজাহারে বলা হয়, দুটি পণ্য চালানে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে উচ্চ শুল্কহারযুক্ত পণ্য সিগারেট আমদানি করে তা খালাসপূর্বক সরকারের ১৬ কোটি ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৭৫০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন আসামিরা।