ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩ দিন পর নাপা সিরাপ বিক্রি শুরু

দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় তিন দিন বিক্রি বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব ওষুধের দোকানে নাপা সিরাপ বিক্রি শুরু হয়েছে। জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির নির্দেশনায় ফের সিরাপটি জেলার সব ওষুধের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু কাউসার জানান, ওষুধ প্রশাসনের পরীক্ষায় সংশ্লিষ্ট দোকান থেকে সংগ্রহ করা নাপা সিরাপে কোনও ধরনের ক্ষতিকারক কিছু ‘পাওয়া যায়নি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানিও (বেক্সিমকো) এ বিষয়ে নিশ্চয়তা দেওয়ার পর সিরাপটি বিক্রির বিষয়ে ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নাপা সিরাপ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠার পর শনিবার (১২ মার্চ) থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওষুধ দোকানে নাপা সিরাপ বিক্রি না করতে নির্দেশ দেয় জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি।

এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে দুই শিশুর (সহোদর) মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত স্বাস্থ্য অধিদফতরের তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের আগেই আমরা প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।’ তবে তদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ, কারও গাফিলতি কিংবা কোনও ধরনের সুপারিশ আছে কি না- সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।

একই ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি একই বিষয় নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করায় আমাদের হাসপাতালের পক্ষ থেকে করা কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হলো।’

উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ (বৃহস্পতিবার) রাতে আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক ইসমাইল হোসেন সুজন খানের দুই ছেলে ইয়াছিন খান (৭) ও মোরসালিন খানের (৫) মৃত্যু হয়। এর আগে, তাদের জ্বর আসায় বাড়ির পাশের ওষুধ দোকান থেকে নাপা সিরাপ এনে খাওয়ানো হয়। এতে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।