জলকেলিতে শেষ হলো মারমাদের সাংগ্রাই উৎসব

বান্দরবা‌নে জলকেলির (পানি ছিটানো) মধ্য দিয়ে মারমা সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব সাংগ্রাই শেষ হয়েছে। তিন‌ দিনব্যাপী আয়োজিত সাংগ্রাই উৎসবের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ জলকেলি। এই উৎসবের মাধ্যমে পুরনো বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে স্বাগত জানায় মারমারা।

শুক্রবার (১৫ এ‌প্রিল) বিকা‌লে সাঙ্গু নদীর তী‌রে জলকেলির উ‌দ্বোধন ক‌রেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যাল‌য়ের সি‌নিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন। এ সময় বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছ‌মিন পারভীন তিবরী‌জি, জেলা প‌রিষ‌দের নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল আল নোমান, অ‌তি‌রিক্ত জেলা প্রশাসক লুৎফুর রহমানসহ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা উপ‌স্থিত ছি‌লেন। 

জলকেলিতে মারমা তরুণ-তরুণীরা একে-অপরকে পানি ছিটিয়ে খেলা শুরু করেন। পাশাপাশি চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কয়েক হাজার মারমা নারী-পুরুষ এই উৎসবে যোগ দেন।

একে-অপরকে পানি ছিটিয়ে খেলা শুরু করেন মারমা তরুণ-তরুণীরা

পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান তিনটি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব ‘বৈসাবি’। প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষবরণ উপলক্ষে ত্রিপুরা সম্প্রদায় ‘বৈসুক’ মারমারা ‘সাংগ্রাই’ এবং চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যারা ‘বিজু’ নামে এই উৎসব পালন করে। তিন ভাষার আদ্যোক্ষর নিয়ে এই উৎসবকে বলা হয় ‘বৈসাবি’। বাংলা বর্ষবরণ ও বর্ষবিদায় উৎসবকে পাহাড়ের সম্প্রদায়েরা ভিন্ন নামে পালন করে আসছে বহুকাল ধরে।

এর আগে ১৩ এপ্রিল সকালে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী সাংগ্রাই উৎসবের সূচনা করা হয়। হিংসা-বি‌দ্বেষ দূ‌রে থাক শান্ত সবুজ গি‌রি ছায়ায়, সকল কা‌লিমা মু‌ছে যাক মৈত্রীময় জলধারায়—স্লোগা‌নে পুরাতন বছর‌কে বিদায় এবং নতুন বছর‌কে বরণ কর‌তে সাংগ্রাই‌ শুরু হয়।