তদন্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ

রাঙামাটিতে অপহরণ ও যৌন হয়রানির মামলায় অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন দুই তদন্ত কর্মকর্তা। তাদের গাফিলতিতে খালাস পায় আসামি। এজন্য দুই তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অদক্ষতা ও অসদাচরণের দায়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন রাঙামাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক।

রবিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ. ই. এম. ইসমাইল হোসেন এই আদেশ দেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর ভিকটিমকে শহরের তবলছড়ি থেকে অপহরণ করে যৌন হয়রানির চেষ্টা এবং কিলঘুষি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করা হয়। ভিকটিমের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা ওইদিন থানায় মামলা করেন।

রায় থেকে জানা গেছে, রাষ্ট্রপক্ষ মামলা প্রমাণের জন্য এজাহারকারী ও ভিকটিমসহ আট জনের সাক্ষী উপস্থাপন করে। অপরাধ প্রমাণে ব্যবহারযোগ্য আলামত জব্দ না করা, ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র প্রস্তুত না করা, ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন না করাসহ তদন্তে গুরুতর অবহেলা করায় কোতয়ালি থানার এসআই আনোয়ার কামাল হারুন ও এসআই জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অদক্ষতা ও অসদাচরণের দায়ে এই আদেশ দেন আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০-এর (১৮)৮ ধারা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোখতার আহমদ জানান, বাদীপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে ঘটনা প্রমাণ করতে পারলেই কেবল আসামির শাস্তি হয়। কিন্তু এখানে বাদীপক্ষ তা প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় আসামি খালাস পেয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম অভি বলেন, ‘এই রায়ে আমরা ক্ষুব্ধ। শুধু তদন্তকারী কর্মকর্তাদের অদক্ষতার কারণে আসামি খালাস পেয়েছে। আদালত তদন্ত কর্মকর্তাদের শাস্তিমূলক যে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন তাতে ভবিষ্যতে তারা আরও সর্তক হবেন।’