ছাত্রলীগ নেতা মামুন হত্যায় ৭ জনের যাবজ্জীবন

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে ছাত্রলীগ নেতা মামুনুর রশীদ সাগর (২৬) হত্যার ঘটনায় সাত জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম মোজাম্মেল হক এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আজম, ওমর উদ্দিন, আলী আজগর হৃদয়, ফারুক আশিক, শওকত হোসেন শাহানুর, আশরাফুল আলম সুমন ও পারেভজ। এর মধ্যে পারভেজ ও সুমন পলাতক। বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোহাম্মদ আইয়ুব খাঁন বলেন, মামুনুর রশীদ সাগর হত্যার ঘটনায় আদালত রায় ঘোষণা করেছেন। রায়ে সাত জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। দণ্ডিত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামুনুরের সঙ্গে আবদুল আজিজ নামে আরও একজন আহত হন। এ ঘটনায় আসামি ওমর উদ্দিনকে আরও ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের শাহমীরপুর গ্রামের জমাদর পাড়ায় বাড়ির অদূরে দুর্বৃত্তদের অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপে ছাত্রলীগ নেতা মামুনুর রশীদ নিহত হন। এ সময় আবদুল আজিজ নামে আরও এক ছাত্রলীগ নেতা আহত হয়। পর দিন ২৭ সেপ্টেম্বর নিহতের বড়ভাই মো. ইয়াছিন বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় পাঁচ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়। মামলাটি তদন্ত করেন কর্ণফুলী থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাসান ইমাম। তিনি তদন্ত শেষে সাত জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১১ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি এ মামলায় আদালতে চার্জ গঠন করা হয়। মামলায় ২৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনই আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

বুধবার রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন মামলার বাদী মো. ইয়াছিন। তিনি বলেন, এ রায়ে আমি পুরোপুরি সন্তুষ্টি হতে পারিনি। এ মামলার মূল হোতাদের রায়ে অন্ততপক্ষে মৃত্যুদণ্ড হবে বলে আশা করেছিলাম।