শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ী সংঘর্ষে তৃতীয় পক্ষের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল: শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী ও নিউ মার্কেট ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে দিতে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন ছিল বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘ঘটনায় তৃতীয় পক্ষের শুধু ইন্ধন নয়, একেবারে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। সেই অংশগ্রহণের কারণেই এটি এত বড় সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। মোটামুটি চিহ্নিত একটি পক্ষ সবসময় চেষ্টা করছে যে কোনোভাবে শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে। এটি তাদের ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের একটা অপচেষ্টা। এখানেও আমাদের কাছে মনে হয়েছে সেরকম একটা চেষ্টা ছিল।’ তবে এ ঘটনায় নিহত দু’জনের পরিবারের পাশে সরকার দাঁড়াবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। 

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বিকালে চাঁদপুর সার্কিট হাউসে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘নিউ মার্কেটে ফাস্টফুডের যে দোকানি, তার রাজনৈতিক পরিচয় জানা গেছে। নিজেদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের এনে তার ব্যাপকতা ছড়িয়ে একটা অরাজক পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করেছে। সুতরাং কোনও অবস্থায় এদের ছাড় দেওয়া হবে না।’
  
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থী এবং ব্যবসায়ীসহ সকলের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রয়োজন। সবচেয়ে দুঃখজনক হলো, ঘটনাটি শুরু হয়েছে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে। তারপর সেটির বিস্তার এবং তার মধ্য দিয়ে দু’জন মানুষের প্রাণহানি ঘটা-এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না। সংঘর্ষের ঘটনায় আমাদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা আহত হয়েছেন। তবে এর মধ্যে অনেক কিছুই বেরিয়ে আসছে, তদন্ত হলে আরও হয়তো অনেককিছু বের হয়ে আসবে। সাধারণত শিক্ষার্থীদের নানারকম দোষারপ করা হয় অনেক সময়। কিন্তু এবার ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে।’

এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়িত্ব পালনে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ঘটনার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একটু দেরিতে এসেছে। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আমাদের সবারই অনেক সচেতন হওয়ার নিশ্চয়ই প্রয়োজন রয়েছে। পরিবেশ যেন ঠিক থাকে সেদিকে সবার প্রচেষ্টা থাকতে হবে।

দীপু মনি আরও বলেন, পুরো ঘটনাই অনভিপ্রেত ছিল। সংঘর্ষে যে দু’জন প্রাণ হারিয়েছেন তারা আসলেতো এই সংঘর্ষের মধ্যে অংশগ্রহণকারী ছিলেন না। তারা দু’জনই নিজেরা যার যার কাজে যাচ্ছিলেন, কিন্তু তারা প্রাণ হারিয়েছেন। এর চেয়ে দুঃখজনক আর কি হতে পারে।

পরে শিক্ষামন্ত্রী সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কৃষকদের মধ্যে কৃষি উপকরণ সামগ্রী বিতরণ করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, কৃষি বিভাগের উপপরিচালক জালাল উদ্দিন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম দেওয়ান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।