চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা, গ্রেফতার ১

চট্টগ্রামে আসকার বিন তারেক (১৮) নামে ছাত্রলীগের এক নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আসকার নগরীর ২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ড ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। নগরীর এনায়েত বাজার এলাকার এসএম তারেকের ছেলে আসকার বিএফ শাহীন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

এর আগে শুক্রবার রাতে নগরীর জামালখান চেরাগী মোড় এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে।

এ ঘটনায় শনিবার (২৩ এপ্রিল) বিকালে নিহত কলেজছাত্রের বাবা এসএম তারেক বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল কবির এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি বলেন, মামলায় সাত জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১০-১২ জনকে। এ ঘটনায় শোভন দেব নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। মামলার অপর আসামিরা হলো শোভন দেব, ধ্রুব, প্রান্ত, শ্রাবণ, শচীন, রুবেল দত্ত, অর্ক ও মহান চৌধুরী।

আরও পড়ুন: দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেলো কলেজছাত্রের 

আসকারের বন্ধু আশিক হাসান বলেন, ‘আসকার ওয়ার্ড ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ছিল। জামাল খান এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।’

আসকারের বাবা এসএম তারেক বলেন, ‘আমার ছেলে কার ক্ষতি করেছে জানি না। কেন তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে তাও জানি না। আমি হত্যাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

ওসি মো. জাহিদুল কবির বলেন, ‘কি নিয়ে দ্বন্দ্বে আসকারকে হত্যা করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখছি আমরা। ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। জড়িতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।’

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু বলেন, আসকার ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কি নিয়ে দ্বন্দ্বে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা জানি না। তবে জামালখান ওয়ার্ডে ছাত্রলীগের কমিটি নেই। যারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।