খন্দকার মোশাররফের বাসভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপের অভিযোগ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের কুমিল্লার দাউদকান্দির বাসভবনে শনিবার (৭ মে) ইটপাটকেল নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

এই অভিযোগ তুলে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভিপি জাহাঙ্গীর আলম দাবি করেন, ‘সকাল ১০টার দিকে মোশাররফ স্যার তার বাসভবনে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে তিতাস উপজেলায় একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন। বাসা থেকে ১০০ গজ সামনে যেতেই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম, আলামিন সরকার ও যুবলীগের ইয়াকুবের নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ যুবলীগ ক্যাডার অতর্কিত ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।’

তিনি বলেন, ‘পরে আমরা ওনাকে বাসার ভেতরে নিয়ে গেট লাগিয়ে দেই। তখন তারা বাসার বাসভবনে গেটে লোহার রড দিয়ে পেটাতে থাকে। বাসার ছাদে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল) মো. ফয়েজ ইকবাল এসে স্যারকে তিতাস যেতে সহায়তা করেন।’

এ বিষয়ে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমি যখন বাসা থেকে বের হয়েছি, তখন ওরা এসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা শুরু করে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাসার সামনে এসে বিশৃঙ্খলা করেছে। এখন শুনছি, উল্টো মামলা দেবে। যা তাদের স্বাভাবিক চরিত্র।’

দাউদকান্দি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম দাবি করেন, ‘যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা মোশাররফ সাহেবকে দাউদকান্দিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে একটি মিছিল বের করি। আমাদের মিছিলে তাদের হামলায় ছাত্রলীগ নেতার মাথা ফেটে গেছে। বিশ্বাস না করলে গৌরীপুর হাসপাতাল এসে দেখে যান।’

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ ইকবাল বলেন, ‘মোশাররফ সাহেব যখন বাসা থেকে বের হয়েছে, তখন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একটি মিছিল আসছিল। এ সময় সামান্য ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়। পরে আমি গিয়ে মোশাররফ সাহেবকে নিরাপদে তিতাস পৌঁছে দিতে সাহায্য করি।’