কাপ্তাই হ্রদে পানি কমায় কমেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন

টানা অনাবৃষ্টির ফলে কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর অনেকটা কমে এসেছে। পানি কমায় হ্রাস পাচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। এতে বেড়েছে লোডশেডিং।

দেশের একমাত্র জল বিদ্যুতের এই কেন্দ্রে বর্তমানে পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে মাত্র একটি ইউনিট চালু রাখা হয়েছে। সেখান থেকে মাত্র ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। অথচ এই হ্রদে পরিপূর্ণ পানি থাকলে পাঁচ ইউনিটের মাধ্যমে ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। এখন পানি না থাকায় প্রায় ১৯৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম উৎপাদন হচ্ছে।

কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদে সর্বোচ্চ পানির স্তর থাকে। বর্তমানে দীর্ঘদিনের অনাবৃষ্টির ফলে পানির স্তর অনেকটা কমে গেছে। এতে হ্রদের পানির ওপর নির্ভরশীল কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সহসা বৃষ্টিপাত না হলে এই ইউনিট থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদন করাটাও কঠিন হয়ে পড়বে।

হ্রদের রুলকার্ভ অনুসারে পানি থাকার কথা রয়েছে ৭৮.৯৬ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। মঙ্গলবার (১৭ মে) পর্যন্ত পানি রয়েছে মাত্র ৭৪.০০ এমএসএল। সবশেষ ১৯৮৬ সালে সর্বনিম্ন ৬৯.৯৮ এমএসএলে পানি স্তর নেমে আসে।

kaptai1

জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আবদুজ্জাহের বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি একেবারেই কমে যায়। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হয়। হ্রদে পানি না থাকায় সব ইউনিট চালানো সম্ভব না হওয়ায় বিদ্যুতের উৎপাদন হ্রাস পায়। তাছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সঠিক সময়ে বৃষ্টিপাত না হওয়াতে এমন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, ১৯৬২ সালে খরস্রোতা কর্ণফুলী নদীর ওপর দিয়ে নির্মিত হয় কাপ্তাই বাঁধ। এরপর থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি মৎস্য উৎপাদন, নৌ যোগাযোগ, জলে ভাসা জমিতে কৃষি চাষাবাদ, সেচ, ব্যবহার্য পানি সরবরাহ, পর্যটনসহ বিভিন্ন সুযোগ ও সম্ভাবনা গড়ে ওঠে কাপ্তাই হ্রদ ঘিরে।