পুলিশ সদস্যের কবজি বিচ্ছিন্ন, মূলহোতা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশ সদস্যের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার মূলহোতা কবির আহাম্মদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এ সময় তার এক সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বড় হাতিয়া পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে তাদের সঙ্গে র‍্যাবের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

গ্রেফতার কবির আহাম্মদ লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের লালারখিল এলাকার আলী হোসেনের ছেলে। তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭-এর সহকারী পরিচালক নুরুল আবছার।

তিনি বলেন, অভিযানে যাওয়া কনস্টেবলের কবজি বিচ্ছিনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার ঘটনার মূলহোতা কবিরের লোহাগাড়া পাহাড়ি এলাকায় অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালানো হয়। এ সময় র‍্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালানো শুরু করে সন্ত্রাসীরা। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সন্ত্রাসী কবির ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

এ ঘটনায় তিন জনকে আসামি করে রবিবার (১৫ মে) রাতে লোহাগাড়া থানার এএসআই মজিবুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলায় কবির আহাম্মদ, তার স্ত্রী রুবি আকতার এবং তার মা মোস্তফা বেগমকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলার দুই নম্বর আসামি রুবিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মামলার তিন আসামির মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এরই মধ্যে মূলহোতাকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

পুলিশ জানায়, রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কবির আহাম্মদ নামে এক আসামিকে গ্রেফতারে লোহাগাড়ার পদুয়া ইউনিয়নের লালাখিল গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন  লোহাগাড়া থানার এসআই ভক্ত চন্দ্র দত্ত। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন এএসআই মজিবুর রহমান, কনস্টেবল মো. জনি খান ও শাহাদাত হোসেন।

পুলিশ পিকআপে অভিযান চালায়। কবির গ্রেফতার এড়াতে কনস্টেবল জনি খানকে দা দিয়ে কোপ দেয়। এতে তার বাম হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর কবির পালিয়ে যায়। জনিকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে তার হাতের কবজি জোড়া লাগানো হয়েছে।