নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণে গিয়ে ২ কনস্টেবল ‘নিখোঁজ’

নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণে যাওয়ার পর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) দুই কনস্টেবল ফিরে আসনেনি। তারা পালিয়েছেন নাকি কোনও দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে পারছেন না সিএমপি কর্মকর্তারা। 

নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবলরা হলেন—রাসেল চন্দ্র দে ও শাহ আলম। রাসেলের বাড়ি কক্সবাজারের সিএমপির দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে। শাহ আলম কুমিল্লার বাসিন্দা। তিনি মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনসের ব্যারাকে থাকতেন।

জানা গেছে, নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণ শেষে আট সদস্যের মধ্যে ছয় জন ২৪ মে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। তাদের মধ্যে রাসেল চন্দ্র দে ও শাহ আলম ফিরে আসেননি।

সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর জানান, নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া দুই কনস্টেবল কী কারণে ফেরেননি, সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি। তারা ফিরতি ফ্লাইটের আগের দিন নিখোঁজ হন। নিজেদের পাসপোর্ট তাদের কাছেই ছিল। তারা পরিবারের সদস্যদের জন্য কেনাকাটাও করেছিলেন। 

তিনি বলেন, ‘দুই কনস্টেবলের ফিরে না আসার বিষয়টি আমরা ইতোমধ্যে নেদারল্যান্ডসের দূতাবাস ও পুলিশ সদর দফতরকে অবহিত করেছি।’

সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, সিএমপির কাউন্টার টেররিজম বিভাগের অধীনে একটি পূর্ণাঙ্গ ডগ স্কোয়াড (কে-৯) ইউনিট খোলা হচ্ছে। এখানে দুটি ভিন্ন প্রজাতির ২০টি প্রশিক্ষিত কুকুর এখানে যোগ হবে। যার মধ্যে আটটি জার্মান শেফার্ড ও ১২টি ল্যাব্রাডর। ‘কুকুরের ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক ১৫ দিনের প্রশিক্ষণে অংশ নিতে আট সদস্যের একটি টিমকে গত ৯ মে নেদারল্যান্ডসে পাঠানো হয়। 

টিমের নেতৃত্বে ছিলেন বায়েজিদ বোস্তামী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মোহাম্মদ বেলায়াত হোসেন। ঢাকার মেসার্স রিফা এন্টারপ্রাইজ স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে এই প্রশিক্ষণ লিয়াঁজো করেছে।