ইভিএম না হলে ভোট রাতেই নিয়ে নিতাম: চেয়ারম্যান প্রার্থী 

‘ইভিএম না হলে আমি কাউকে খুঁজতাম না, ভোট আমিই মেরে দিতাম’, নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে গিয়ে প্রকাশ্যে এমন বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার এমন বক্তব্যের ৪১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।  

জানা যায়, শনিবার (২৮ মে) বিকালে বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের বাংলাবাজার ১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণা চালান চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী। এ সময় তিনি এমন বক্তব্য দেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, বক্তব্যে তিনি হ্যান্ডমাইকে বলছেন- ‘রিকশায় করে পারেন, যেভাবে পারেন এসে ভোট দেওয়ার কারণ ‘ইভিএম’-এ ভোট। ইভিএম না হলে সব আমিই মেরে দিতাম, কাউকে খুঁজতাম না। কথা বুঝেন নাই, ইভিএমে আইডি কার্ড না ঢুকালে হয় না। ওটা হলে ভোট আমি রাতেই নিয়ে নিতাম। তাই আপনাদের কষ্ট করে সেটা (জাতীয় পরিচয়পত্র) নিয়ে যেতে হবে। মেশিনে ফিঙার দিতে হবে। আপনারা কষ্ট করে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। আঙুলের ছাপ দিয়ে ভোট দেবেন। ছাপ দিতে না পারলে সেখানে আমি ছাপ দেওয়ার মানুষ রাখবো। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।’

তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও এডিট করা বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমি এ ধরনের বক্তব্য কোথাও দিইনি। আমার প্রতিপক্ষ এটা এডিট করে ছেড়েছে। আগেও আমার দুটি বক্তব্য এডিট করে তারা ছেড়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে আমার যে জনপ্রিয়তা, তাতে আমার সঙ্গে তাদের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ কারণে তারা অসৎ উপায় অবলম্বন করছে।’

বাঁশখালী উপজেলার তিন ইউনিয়নের (চাম্বল, সরল ও বৈলছড়ি) দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা রকর চাকমা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বক্তব্যের ভিডিও আমরা পেয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করেননি।’

তিনি বলেন, আগামী ১৫ জুন বাঁশখালী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।