নেদারল্যান্ডসে গিয়ে উধাও ২ কনস্টেবল: তদন্তে কমিটি, হচ্ছে মামলা

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) দুই কনস্টেবল নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণের জন্য গিয়ে উধাও হওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ জুন) এ কমিটি গঠন করা হয়। পাশাপাশি দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হবে। তাদের পরিবারের কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।

সিএমপির উপ-কমিশনার (সদর) আমির জাফর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দুই পুলিশ সদস্য দেশে না ফেরার ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) মো. শরীফুলকে। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নেদারল্যান্ডস থেকে দেশে না আসা দুই কনস্টেবলের বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকেও কোনও সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। যার কারণে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তারা ফিরে না আসার বিষয়টি আমাদেরকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছে।’

নেদারল্যান্ডস থেকে উধাও হওয়া দুই পুলিশ কনস্টেবল হলেন- রাসেল চন্দ্র দে ও শাহ আলম। রাসেলের বাড়ি কক্সবাজার পৌর এলাকায়। তিনি দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে ছিলেন। শাহ আলম কুমিল্লার বাসিন্দা। তিনি মনসুরাবাদ পুলিশ লাইন্সের ব্যারাকে থাকতেন।

জানা গেছে, নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণ শেষে সিএমপির আট সদস্যের মধ্যে ছয় জন ২৪ মে বাংলাদেশে ফেরেন। তবে মধ্যে রাসেল ও শাহ আলম ফেরেননি।

সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর জানান, নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া দুই কনস্টেবল কী কারণে ফেরেননি, সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি। তারা ফিরতি ফ্লাইটের আগের দিন নিখোঁজ হন। নিজেদের পাসপোর্ট তাদের কাছেই ছিল। তারা পরিবারের সদস্যদের জন্য কেনাকাটাও করেছিলেন।

তিনি বলেন, ‘দুই কনস্টেবলের ফিরে না আসার বিষয়টি ইতোমধ্যে নেদারল্যান্ডসের দূতাবাস ও পুলিশ সদর দফতরকে জানিয়েছি।’

সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের অধীনে একটি পূর্ণাঙ্গ ডগ স্কোয়াড (কে-৯) ইউনিট খোলা হচ্ছে। দুটি ভিন্ন প্রজাতির ২০টি প্রশিক্ষিত কুকুর সেখানে যোগ হবে। যার মধ্যে আটটি জার্মান শেফার্ড ও ১২টি ল্যাব্রাডর। ‘কুকুরের ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক ১৫ দিনের প্রশিক্ষণে অংশ নিতে আট সদস্যের একটি টিমকে গত ৯ মে নেদারল্যান্ডসে পাঠানো হয়।

টিমের নেতৃত্বে ছিলেন বায়েজিদ বোস্তামী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন। ঢাকার মেসার্স রিফা এন্টারপ্রাইজ স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে এই প্রশিক্ষণ লিয়াজোঁ করেছে।