আয়না পড়া দেওয়ার কথা বলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, কবিরাজের যাবজ্জীবন

চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীক ধর্ষণের অভিযোগে মো. হারুন (৫৫) নামে এক কবিরজাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত তাকে তিন লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার অপর দুই আসামি এনামুল হক ও তার স্ত্রী সবুরা খাতুন ওরফে সুরমাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৮ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিত আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিল। আসামি হারুন জোরারগঞ্জ থানার মধ্যম আজমনগর ছুনিমিঝির বাড়ির মৃত মাওলানা আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২২ জানুয়ারি চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানাধীন মধ্যম আজমনগরে কবিরাজ হারুনের ঘরে ধর্ষণের শিকার হয় ওই শিশু।

মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, ঘটনার সময় ওই ছাত্রী তার নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। সেখানে থাকা অবস্থায় ওই বছরের ২১ জানুয়ারি তার নানার বাড়ির পার্শ্ববর্তী একজনের ঘরের পানির মোটর চুরি হয়ে যায়। মোটরটি কে নিয়ে গেছে তা জানার জন্য হারুন কবিরাজের কাছে গিয়ে আয়না পড়ায় দেখার জন্য বলে। কবিরাজ জানায়, আয়না পড়া দেখার জন্য কুমারি মেয়ে দরকার। এ সময় ওই ছাত্রীকে কবিরাজের কাছে নিয়ে যায়। হারুন তাকে একটি পৃথক কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় ২০১৬ সালের ২৪ জানুয়ারি মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে তিন জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত আট জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে বুধবার রায় ঘোষণা করেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর সরকারি কৌঁসুলি খন্দকার আরিফুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আসামি হারুনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ (১) তথা ধর্ষণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হয়। আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই রায়ে আদালত তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ডও করেন এবং অনাদায়ে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।