ফায়ারম্যান নিপনের মেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নিলো লেকার্স স্কুল

সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন নেভাতে গিয়ে মারা যাওয়া ফায়ার ফাইটার নিপন চাকমার মেয়ে উন্নতি চাকমার পড়াশোনার দায়িত্ব নিলো রাঙামাটির লেকার্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) দুপুরে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এই বিষয়ে একটি অঙ্গীকারনামা তুলে দেওয়া হয় উন্নতি চাকমা ও তার মায়ের হাতে।

উন্নতি চাকমা সেনাবাহিনী পরিচালিত রাঙামাটি লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার হাতে অঙ্গীকারনামা তুলে দেন বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সেনাবাহিনীর রাঙামাটি রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমতাজ উদ্দিন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মেজর মো. আরিফ মাহমুদ।

নিপন চাকমার স্ত্রী সুমনা চাকমা কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘উন্নতির বাবার মৃত্যুর পর যখন আমি চারদিকে অন্ধকার দেখছিলাম, তখন স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়ের লেখাপড়ার ভার নিয়েছে। এর জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

অধ্যক্ষ মেজর মো. আরিফ মাহমুদ বলেন, ‘উন্নতির যে ক্ষতি তা পূরণ করা মতো নয়। আমরা তার স্কুল শিক্ষার যাবতীয় ব্যয়ভার গ্রহণ করেছি। এটা আমাদের ছোট্ট প্রয়াস।’

জানা গেছে, নিপন চাকমা ফায়ার সার্ভিসের সীতাকুণ্ড স্টেশনে লিডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি রাঙামাটির কলেজ গেট এলাকার মন্ত্রীপাড়ার বাসিন্দা। সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুনের খবরে সেখানে চলে যান তিনি। আগুন নেভাতে গিয়ে প্রাণ হারান। ঘুম থেকে উঠে স্বামীর মৃত্যুর খবর পান সুমনা চাকমা। সোমবার (৬ জুন) সকালে তার লাশ নিজ জেলায় নেওয়া হয়েছে। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বিভাগীয় শ্রদ্ধা। এরপর বাড়িতে নেওয়া হয় লাশ। সেদিন দুপুরে দাহক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। নিপন চাকমার দুই মেয়ে। বড় মেয়ের প্রগতি চাকমা। উন্নতি চাকমা মারা এই ফায়ার ফাইটারের ছোট মেয়ে।