বিএম কনটেইনার ডিপোর উদ্ধার কাজ সমাপ্ত ঘোষণা

সীতাকুণ্ডের বেসরকারি বিএম কনটেইনার ডিপোতে উদ্ধার কাজ সমাপ্ত ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বেলা ২টার দিকে সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে কর্মকর্তা নুরুল আলম এই ঘোষণা দেন । 

ব্রিফিংয়ে নুরুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে পাঁচ দিনে মোট ৪৬ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরমধ্যে পরিচয় শনাক্ত হয়েছে ২৭ জনের। বাকিদের এখনও শনাক্ত করা যায়নি। শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য। এখন পর্যন্ত আহত হয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১২ জন সদস্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে এবং দুজন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন। নিখোঁজ আছেন তিন জন সদস্য। এ পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়ে স্টেশনে ফিরেছেন চার সদস্য।

এর আগে, শনিবার (৪ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডিপোতে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে সাড়ে ১০টার দিকে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পুরো ডিপো এলাকা। একপর্যায়ে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ডিপোতে আমদানি-রফতানির বিভিন্ন মালামালবাহী কনটেইনার ছিল। ডিপোর কনটেইনারে রাসায়নিক দ্রব্য ছিল, বিকট শব্দে সেগুলোতেও বিস্ফোরণ ঘটে। দ্রুত চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় হতাহত হয়েছে বেশি। আহতদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতাল ও বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পাঁচ দিন সময় লেগে যায়। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভেতরে থাকা ক্ষতিগ্রস্ত কোনও কনটেইনারে দৃশ্যমান আগুন ছিল না। ফলে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজ সমাপ্ত ঘোষণা করে চলে যায়।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা নুরুল আলম বলেন, এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশের ১০ জন এবং ফায়ার সার্ভিসের ১৮ জন সদস্য আহত হয়েছেন। এই দুই বাহিনীর সদস্যদের বাইরে আরও ২৩০ জন আহত হয়েছেন।