চট্টগ্রামে ১৮ ইউনিয়নের ৯টিতে নৌকার প্রার্থীর জয় 

চট্টগ্রামের ছয় উপজেলার ১৮ ইউনিয়নে বুধবার (১৫ জুন) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ৯টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী, চারটিতে বিদ্রোহী ও পাঁচ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা এই ফল ঘোষণা করেন।

১৮ ইউনিয়নের মধ্যে বাঁশখালীর ১৩টি, আনেয়ারার পরৈকোড়া, পটিয়ার ছনহারা, কর্ণফুলীর চর পাথরঘাটা, হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ ও ফটিকছড়ির ভুজপুর ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে পটিয়া ও আনোয়ার উপজেলার দুই ইউনিয়নে ব্যালট পেপারে ভোট হলেও বাকি ইউনিয়নে ইভিএমে ভোট হয়েছে।

বাঁশখালী উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে মধ্যে সাতটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী, তিনটিতে বিদ্রোহী ও বাকি তিনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়লাভ করেন। এর মধ্যে পুকুরিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসহাব উদ্দিন, সাধনপুরে বিদ্রোহী এ কে এম সালাউদ্দিন কামাল, খানখানাবাদে আওয়ামী লীগের জসিম উদ্দিন হায়দার, বাহারচড়ায় আওয়ামী লীগের তাজুল ইসলাম, কালীপুরে আওয়ামী লীগের আ ন ম শাহাদাত আলম, কাথারিয়ায় আওয়ামী লীগের ইবনে আমিন, গণ্ডামারায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. লেয়াকত আলী, পুঁইছড়িতে বিদ্রোহী তারেকুর রহমান, শীলকূপে আওয়ামী লীগের কায়েস সরওয়ার সুমন, ছনুয়ায় বিদ্রোহী এম হারুনুর রশিদ, শেখেরখীলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোরশেদুল ইসলাম ফারুকী, সরল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের রশিদ আহমদ চৌধুরী ও বৈলছড়িতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. কফিল উদ্দিন জয়লাভ করেন।

বাকি পাঁচ ইউনিয়নের মধ্যে পটিয়ার ছনহারা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রশিদ দৌলত, কর্ণফুলীর চর পাথরঘাটায় বিদ্রোহী হাজী ছাবের আহমেদ, হাটহাজারী ফরহাদাবাদে আওয়ামী লীগের শওকত আলম, ফটিকছড়ির ভুজপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী শিপন, আনোয়ারায় উপজেলার পরৈকোড়ায় আওয়ামী লীগের আজিজুল হক চৌধুলী বাবুল বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছেন।

চট্টগ্রাম সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চট্টগ্রামের ১৮টি ইউনিয়নে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে। বড় ধরনের কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটারের উপস্থিতিও ছিল লক্ষ্যণীয়।’