ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘খান বাহাদুরের’ দাম ২০ লাখ টাকা

ঘনিয়ে আসছে ঈদুল আজহা। কয়েকদিন পরই বসবে কোরবানির পশুর হাট। সেখান থেকে কোরবানির জন্য পছন্দমতো পশু কিনবে মানুষ। ঈদকে কেন্দ্র করে খামারিরাও তাদের পালিত পশুর বিষয়ে জানান দিচ্ছেন ও প্রদর্শন করছেন। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩২ মণ ওজনের একটি গরু প্রদর্শন করা হয়েছে। গরুটি পালন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের খামারি মোনায়েম খান। কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা গরুটির নাম রাখা হয়েছে ‘খান বাহাদুর’।

তিন বছর ধরে প্রাকৃতিক খাবারের পাশাপাশি দেশীয় দানাদার খাবার খাইয়ে গরুটিকে মোটাতাজা করে বড় করেছেন। বৃহৎ আকারের গরুটি দেখতে প্রতিদিন তার বাড়িতে ভিড় করছে মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোনায়েম খান তিন বছর আগে প্রতিবেশী আব্দুস সালামের কাছ থেকে একটি ব্রাহমা জাতের ষাঁড় বাচ্চা কেনেন। এরপর থেকে তিনি গরুটিকে কাঁচা ঘাসের পাশপাশি, খৈল, ভুসি, ডালসহ দেশীয় দানাদার খাবার খাইয়ে বড় করেছেন। আকারে বড় এবং আচরণে খানদানি হওয়ায় খামারি গরুটির নাম রেখেছেন ‘খান বাহাদুর’।

cow2

মোনায়েম খান বলেন, ‘এটা আমার ঘরের খামারের গরু। খুব সাধারণভাবেই লালন-পালন করেছি। এটি দেখতে অনেক বড় এবং সুন্দরও, বাহাদুরের মতোই। গরুটি এক হাজার ২০০ কেজি ওজনের কালো রঙের। বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ লাখ টাকা। কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা পেলে কিছু কম দামেও প্রিয় গরুটি বিক্রি করে দেবো। গরুটি বাজারে ওঠানোর আগেই যেন বাড়ি থেকে বিক্রি করতে পারি।’

স্থানীয় খামারি আব্দুল সালাম বলেন, ‘গরুটিকে খুব যত্ন করে লালন-পালন করেছেন মোনায়েম খান। অন্যকোনও খাবার না দিয়ে দেশীয় পদ্ধতিতে গরুটি পালন করা হয়েছে। আমরা চাই সে যেন গরুটির ন্যাযমূল্য পায়।’

গরুটি দেখতে আসা গাজী শহিদুল বলেন, ‘এটি আমাদের এলাকার সবচেয়ে বড় গরু। সুলতানপুর থেকে গরুটির কথা শুনেই আমরা এখানে দেখতে এসেছি। এখানে এসে দেখে বুঝতে পেরেছি, খান বাহাদুর নামটি গরুটির সঙ্গে আসলেই মানায়।’

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ বি এম সাইফুজ্জামান বলেন, ‘এটি ব্রাহমা জাতের গরু। এটি একটি বর্ধনশীল জাত। দুই বছরে একটি গরুর ওজন হয় ৮০০ থেকে এক হাজার কেজি।’

এক হাজার ২০০ কেজি ওজনের কালো রঙের গরুটির বাজার মূল্য ২০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত গরুটির নির্ধারিত কোনও দাম ওঠেনি।