কোরবানির বর্জ্য অপসারণ ও জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খননসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। রবিবার (৮ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর টঙ্গী, ভোগড়া বাইপাস ও চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় এসব কার্যক্রম ঘুরে দেখেন তিনি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ খান জানান, কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সিটি করপোরেশন তিন দিনের বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ঈদের দিন দুপুর থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু হয়। পাশাপাশি, শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বেশ কয়েকটি খাল পুনরুদ্ধার ও খননের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে, যা ঈদের ছুটির দিনেও অব্যাহত ছিল।
পরিদর্শনকালে প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমেদ প্রথমে টঙ্গীর খালপাড় থেকে শুরু করে গাজীপুরা বাঁশপট্টিতে দখলকৃত খাল উচ্ছেদ কার্যক্রম, বনমালা রোড সম্প্রসারণ, ভোগড়ায় মোগর খাল খনন ও পরিষ্কার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।
পরিদর্শন শেষে খাল খনন কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘পুনরায় যেন এসব খাল দখল না হয় এবং ময়লার কারণে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত না হয়, সেজন্য স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা ও নজরদারি জরুরি।’
তিনি আরও জানান, খালের আশপাশের এলাকায় স্থানীয়দের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে, যাতে তারা নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলে ও সিটি করপোরেশন তা সরিয়ে নিতে পারে। এ উদ্যোগে স্থানীয়দের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।
পরিদর্শনের অংশ হিসেবে প্রশাসক চান্দনা চৌরাস্তা এলাকাতেও যান, যেখানে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশের ড্রেনগুলো পলিথিন, প্লাস্টিক ও অন্যান্য অপচনশীল বর্জ্যে বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা ও যানজটের সৃষ্টি করছিল। এ সময় সিটি করপোরেশনের ভেকু দিয়ে ড্রেনের উপর নির্মিত অবৈধ স্লাব ভেঙে ড্রেন পরিষ্কারের দৃশ্য দেখা যায়।
প্রশাসক বলেন, ‘ড্রেন পরিষ্কার করেও যদি আবার সেখানে অপচনশীল বর্জ্য ফেলে দেওয়া হয়, তাহলে সমস্যার সমাধান হবে না। ব্যবসায়ীসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে। ড্রেন সচল থাকলে সবাই উপকৃত হবেন।’
পরে প্রশাসক সাবেক বাসন ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবন পরিদর্শন করেন এবং জানান, ভবিষ্যতে সেখানে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের একটি আঞ্চলিক কার্যালয় ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেলে ভবনটি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ভাড়া দেওয়া হবে।
পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোতাসিম বিল্লাহ, গাসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল) সুদীপ বসাক, নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম, রাসেল মিয়াসহ সিটি করপোরেশনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।