৪ কেন্দ্রে আবার ভোট চেয়ে সাক্কুর আবেদন

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের চার কেন্দ্রে পুনরায় ভোট নেওয়ার আবেদন করেছেন পরাজিত মেয়রপ্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। গত ২৪ জুন (শুক্রবার) প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর লিখিতভাবে তিনি এই আবেদন করেন। মঙ্গলবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকের এই প্রার্থী। একইসঙ্গে তিনি এই ঘটনায় মামলা করবেন বলেও জানান।

আবেদন পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, নগরীর ৪২, ৭৮, ৭৯ ও ৩৭ নম্বর যথাক্রমে- ভিক্টোরিয়া সরকারি বিদ্যালয় (উত্তর পাশের ত্রিতল ভবন), দিশাবন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (নতুন ভবন ও পশ্চিম পাশের পুরাতন ভবন), দিশাবন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (উত্তর পাশের ভবন) ও শালবন বিহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (পূর্ব উত্তর পাশের ভবন) সালমানপুর কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল ও গেজেট স্থগিত করে পুনরায় ভোটগ্রহণের আবেদন জানাচ্ছি।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন (১৫ জুন) ৪টা পর্যন্ত ১০৫টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট সম্পন্ন হয়। ৪২, ৭৮, ৭৯ ও ৯৭ এই চার কেন্দ্র ব্যতীত বাকি কেন্দ্রের ফলাফলও সাবলীলভাবে ঘোষণা করা হয়। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তা অজ্ঞাত কল পেয়ে পাঁচ মিনিটের সময় চান এবং ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করে তিনি চেয়ার থেকে উঠে যান। আইন ও নিয়মবহির্ভূতভাবে বাকি চার কেন্দ্রের মেয়র পদের ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করে কাউন্সিলর পদের ফলাফল ঘোষণার কথা জানান। এতে আমি ও আমার নির্বাচনি এজেন্টরা প্রতিবাদ করেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা ভোট গণনার ফলাফল প্রায় ৪৫ মিনিট স্থগিত রাখেন।

সর্বশেষ ঘোষিত উক্ত চার কেন্দ্রের ফলাফল ভুয়া ও কাল্পনিক দাবি করে করে আবেদনপত্রে লেখেন, আমাকে পরাজিত করার জন্য আলাদাভাবে কেন্দ্র ভিত্তিক ১০২, ১০৩, ১০৪ ও ১০৫-এর ফলাফল ঘোষণা না করে রিটার্নিং কর্মকর্তা একসঙ্গে ঘোষণা করেন। তারপর আমাকে ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট এবং নৌকা প্রতীকের আরফানুল হক রিফাতকে ৫০ হাজার ৩১০ ভোট পেয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। রিফাতকে ৩৪৩ ভোটে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করে। যা সম্পূর্ণ অবৈধ ও বেআইনি।

মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘আমি ২৪ জুন আবেদন করেছি। বর্তমানে ঢাকায় আছি। গেজেট প্রকাশের ৩৩ দিনের মধ্যে মামলা করার নিয়ম আছে। আমি প্রস্তুতি নিচ্ছি। যেকোনও সময় মামলা করবো।’

এই বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, ‘এটা নির্বাচন কমিশন দেখবে। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’