মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আনা আসামি রিমান্ডে

চট্টগ্রামের আলোচিত ১৩ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার মামলার অন্যতম আসামি মোহাম্মদ শওকত আলমকে (৪৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রবিবার (৩ জুলাই) তাকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আদালত শুনানি শেষে দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে, শনিবার (২ জুলাই) রাত ১টায় নগরের পাঁচলাইশ থানাধীন শুলকবহর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি হাটহাজারী উপজেলার উত্তর মাদার্শা এলাকার মৃত শাহ আলমের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩ মে নগরের হালিশহর থানাধীন শ্যামলী আবাসিক এলাকার শান্তিবাগ মসজিদের পাশের একটি ভবনের চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে ১৩ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে সিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় আশ্রাফ আলী ও মো. হাসান নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন এসআই আব্দুর রব বাদী হয়ে ৪ মে মাদক আইনে হালিশহর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ইতিপূর্বে সর্বমোট ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগপত্রে গ্রেফতার আসামি আশ্রাফ আলী ও রাশেদ ওরফে মুন্নার ১৬৪ ধারায় আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে পলাতক আসামি হিসেবে শওকত আলমকে শনাক্তপূর্বক গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়াও আরও চার আসামিকে নাম-ঠিকানা শনাক্ত না হওয়ায় আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা দিয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআই, চট্টগ্রাম মেট্রোকে দায়িত্ব দেন।

পিবিআই সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুনায়েদ কাওসারকে। মাত্র আড়াই মাসের মধ্যে পলাতক আসামি হিসেবে শওকত আলমকে শনাক্তপূর্বক গ্রেফতার করা হয়েছে।

জুনায়েদ কাওসার বলেন, গ্রেফতার শওকত আলম একজন মাদক ব্যবসায়ী। মিয়ানমার থেকে সেই ১৩ লাখ পিস ইয়াবা দেশে এনেছেন। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সময় মিয়ানমার থেকে দেশে ইয়াবা এনে সারা দেশে সরবরাহ করতেন। দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। শনিবার তাকে নগরের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।