ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন ও অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে রিপন মিয়া নামে এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (৩ জুলাই) দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

শিক্ষক রিপন মিয়া সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়াইল গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে। তিনি সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের দিগন্ত প্রি-ক্যাডেট স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গতকাল রাতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সলিমগঞ্জ এ আর এম উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী স্কুলে আসা যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্তসহ প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন রিপন মিয়া। বিষয়টি ওই ছাত্রী পরিবারকে জানালে একাধিকবার সতর্ক করা হয় তাকে। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীকে অপহরণের পরিকল্পনা করেন। শনিবার সকালে ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার সময় সিএনজি নিয়ে ওঁৎ পেতে থাকেন তিনি। একপর্যায়ে ওই ছাত্রীকে জোর করে সিএনজিতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে পালিয়ে যান রিপন মিয়া। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সলিমগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক দেবনাথ মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, ‘অপহরণের দৃশ্য আমি বাড়ি থেকে দেখে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। অন্য ছাত্রীদের সহযোগিতায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়।’ 

এ বিষয়ে দিগন্ত প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রিন্সিপাল কাজী খলিলুর রহমান বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ ছিল। এ ঘটনায় তাকে স্কুল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে নবীনগর থানার ওসি আমিনুর রশিদ বলেন, ঘটনার পর শনিবার রাতে যৌন নির্যাতন ও অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ এনে ভুক্তভোগীর মা মামলা করেছেন। ওই মামলায় শনিবার রাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।