চট্টগ্রামের বাজারে হঠাৎ পশু সংকট

চট্টগ্রামের বাজারে হঠাৎ পশুর সংকট দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (৮ জুলাই) নগরীর চেয়ে জেলার বাজারগুলোতে এ সংকট বেশি দেখা দেয়। সংকটকে পুঁজি করে অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা।

সবকটি পশুর হাট দিনভর ছিল লোকে-লোকারণ্য। সকাল থেকেই বাজারে পশু সংকট দেখা দেয়। তবে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আরও কয়েক হাজার পশু চট্টগ্রামের বাজারগুলোতে আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাট ইজারাদাররা।

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী পিংক সিটি পশুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, এ হাটে তুলনামূলকভাবে ক্রেতার সংখ্যা বেশি। এ সুযোগে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বিক্রেতারা।

এই বাজার পরিচালনার দায়িত্বে আছেন পাহাড়তলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.  রোকন উদ্দিন। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বৃহস্পতিবার যে গরু ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল শুক্রবার সেটি বিক্রি হয় এক লাখ টাকায় কিংবা আরও বেশি। পশুর ক্রেতা অনেক, সে অনুযায়ী বিক্রেতা কম। এ কারণে দাম বেড়েছে।

একই অবস্থা নগরী ও জেলার বিভিন্ন পশুর হাটে। এদিকে ভাল দাম পেয়ে খুশি বেপারিরা। মনসুর নামে এক খামারি চাঁদপুর থেকে বিবিরহাটে বিক্রির জন্য ১৫টি গরু নিয়ে আসেন। তার ১২টি গরুই শুক্রবার পর্যন্ত বিক্রি করতে পেরেছেন। আরও তিনিটি গরু শনিবার বিক্রির আশা করছেন তিনি। ভালো দামে গরু বিক্রি করতে পেরে খুশি তিনি।

এদিকে বিবিরহাট ইজারাদার মো. মহসীন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, শুক্রবার বিবিরহাট বাজারে প্রচুর পশু বিক্রি হয়েছে। এখনও কয়েক হাজার পশু আছে। শনিবার শেষ দিনে আরও অনেক পশু বিক্রি হবে। পশুর সংকট হবে না। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাকে ট্রাকে বিবিরহাট বাজারসহ সবকটি বাজারে পশু আনছে বেপারিরা। শুক্রবার রাতে ৫টি ট্রাকে করে পশু আনা হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে।

সাগরিকা পশুর হাটের ইজারাদার মো. আকবর হোসেন জানান, এখনও বাজারে অনেক পশু আছে। সংকট হবে না। এখনও শত শত পশুবাহী ট্রাক চট্টগ্রামের বাজারে আনা হচ্ছে। দামও স্থিতিশীল থাকবে।