দুর্ঘটনার সময় ছিলেন না গেটম্যান, নামেনি গেটবার

চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে ছুটির দিনে ঘুরতে বেরিয়ে নিহত হয়েছেন ১১ জন। স্থানীয়রা বলছেন, মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সময় ওই রেলক্রসিংয়ের গেটম্যান উপস্থিত ছিলেন না। এ সময় ট্রেন এলেও ফেলা হয়নি গেটবার। আর তাতেই ঘটেছে অনাকাঙ্ক্ষিত এই দুর্ঘটনা।
 
শুক্রবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে খইয়াছড়া ঝরনা রেলক্রসিং এলাকা থেকে গেটম্যান মো. সাদ্দাম হোসেনকে আটক করেছে রেলওয়ে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘সাদ্দামকে আটক করা হয়েছে। দুর্ঘটনার ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
 
আবুল কালাম নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গেটম্যান মো. সাদ্দাম হোসেন দুর্ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন না, গেটবারও ফেলা হয়নি। এ সময় রেললাইন পার হওয়ার জন্য পর্যটক বহনকারী মাইক্রোবাসটি চট্টগ্রামমুখী লাইনে উঠে গেলে ঢাকা থেকে আসা মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। 
 
বিষয়টি প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাজিম উদ্দিনও। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গেটম্যানের দায়িত্বে অবহেলার কারণেই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। গেটম্যান সাদ্দাম হোসেনকে আটক করা হয়েছে।’
 
তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনায় নিহতদের লাশ চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানায় নেওয়া হয়েছে। সেখানে পরিচয় শনাক্ত করে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।’ 
 
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের হাটহাজারীর আর অ্যান্ড জে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ১৬ জন শুক্রবার (২৯ জুলাই) সকাল ৮টায় হাটহাজারীর আমান বাজার থেকে মাইক্রোবাসযোগে খৈয়াছড়া ঝরনায় ঘুরতে যান। ঘোরাঘুরি শেষে ফেরার পথে বেলা দেড়টা নাগাদ উপজেলার ১২ নম্বর খৈয়াছড়া ইউনিয়নের পূর্ব খৈয়াছড়া গ্রামের ঝরনা এলাকার রেলক্রসিংয়ে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় ১১ জন পর্যটক ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ দুর্ঘটনায় আহত আরও পাঁচ জনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।