চাঁদপুরে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২০

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও দোকানপাটে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কচুয়ার বিশ্বরোড এলাকায় এ সংঘর্ষ-হামলার ঘটনা ঘটে। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা শান্তিপূর্ণ ও সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল। 

তিনি বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আজ বর্ধিত সভা শান্তিপূর্ণ ও সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বর্ধিত সভা শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর কচুয়া বিশ্বরোড এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীদের সমর্থকরা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রে করে মিছিল, শোডাউন, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালান।

ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষে রূপ নেয়। একপর্যায়ে কচুয়ার বিশ্বরোডে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইব্রাহীম খলিল বাদলের নিউ সৌদিয়া হোটেল ভাঙচুর করা হয়। এতে সৌদিয়া হোটেলের প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইব্রাহীম খলিল। সেইসঙ্গে মডার্ন হসপিটাল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের কার্যালয়, শিপনের সেলুন, নজরুলের ভাই ভাই প্লাস্টিক হাউজ ও সুধীরের মুদি দোকান ভাঙচুর করা হয়।

ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের সময় কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়

সংঘর্ষে কচুয়া থানার এসআই আনোয়ার হোসেন ও কনস্টেবল রাসেলসহ আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের ২০ নেতাকর্মী আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য কার্তিক রায় ও ছাত্রলীগ নেতা সজিব হোসেনকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ছাত্রলীগ নেতা শাহাদাত হোসেন ও নাজমুল, যুবলীগ নেতা মানিক ও নাসিমকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন সবুজ, আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম, তোফায়েল, কাউছার ও সাগরসহ অন্যরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন, সিনিয়র এএসপি (কচুয়া সার্কেল) আবুল কালাম চৌধুরী ও কচুয়া থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।

কচুয়া থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‌‘আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা শুরু হলে সংঘর্ষ বাধে দুই পক্ষের। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।’

এদিকে, বর্ধিত সভা শেষে স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী ক্ষতিগ্রস্ত দোকানপাট পরিদর্শন করেছেন।