মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কা: ১২ জনের পর প্রাণ গেলো আরেকজনের

চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায় মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় আহতদের মধ্যে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম তাসমির হাসান পাভেল (১৭)। শনিবার (৬ আগস্ট) রাত ১০টায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

সে হাটহাজারী উপজেলার চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের খৈয়াগ্রাম এলাকার মৃত মো. পারভেজের ছেলে। পাভেল হাটহাজারীর এস নজুমিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।

তার মৃত্যুর বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেন চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান। তিনি জানান, রাত ১০টায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাভেল মারা যান। সে দুর্ঘটনার পর থেকে আইসিইউতে ছিল। তার মাথায় আঘাত ছিল।

একই দুর্ঘটনায় শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরেকজন। তার নাম হায়াতুল ইসলাম আয়াত (১৭)। সে হাটহাজারী থানার চকনদণ্ডী ইউনিয়নের খন্দখিয়া গ্রামের মো. শুক্কুরের ছেলে। এই নিয়ে এই দুর্ঘটনায় ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই (শুক্রবার) সকাল ৮টা আর অ্যান্ড জে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ১৬ জন হাটহাজারীর আমান বাজার থেকে মাইক্রোবাসে মীরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝর্ণায় ঘুরতে যান। ফেরার পথে দুপুর পৌনে ২টার দিকে বারতাকিয়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি রেল লাইনে উঠে পড়লে চট্টগ্রামমুখী মহানগর প্রভাতী ট্রেন ধাক্কা দেয়। মাইক্রোবাসটিতে চালক-হেলপারসহ ১৮ জন ছিলেন। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন। আহত হন আরও সাত জন। তাদের মধ্যে আজ আরেকজন মারা গেছে। এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ জন।