বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারডুবি, ১১ জেলে নিখোঁজ

বঙ্গোপসাগরে এফবি নিশান নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে ১১ জেলে নিখোঁজ হয়েছেন। এ ঘটনায় চার জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) ভোরে পটুয়াখালীর দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ট্রলারটি ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। রাতে ট্রলারের মালিক হাতিয়ার জাহাজমারা আমতলি গ্রামের বাসিন্দা লুৎফুল্লাহিল মজিব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার ভোরে ট্রলারটি ঝড়ের কবলে পড়ে পটুয়াখালীর দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ডুবে যায়। এ সময় পাশে থাকা একটি ট্রলারের লোকজন চার জেলেকে উদ্ধার করেন। পরে তাদের পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর নিয়ে আসেন। উদ্ধার হওয়া জেলেরা মঙ্গলবার বিকালে মোবাইলে খবরটি আমাকে জানিয়েছেন।

লুৎফুল্লাহিল মজিব আরও বলেন, এফবি নিশান ট্রলারটি জাহাজমারা আমতলী ঘাট থেকে এক সপ্তাহ আগে ১৫ জেলেকে নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়। ট্রলারে থাকা সব জেলের বাড়ি হাতিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং সাগর উত্তাল থাকায় ট্রলার ও নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের চেষ্টা চালানো যাচ্ছে না।

এদিকে, নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম মো. সোহেল (২২)। তিনি হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা আমতলী গ্রামের এনায়েত মাঝির ছেলে।

সোহেলের ভাই মো. রাসেল জানান, জীবিত উদ্ধার চার জনের মধ্যে এক জেলে মো. শামীম (৪৫)। তার সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, সোহেলসহ ১১ জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

শামীম জানিয়েছেন, ট্রলারটি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ঝড়ের কবলে পড়ে উল্টে যায়। এতে তিনিসহ চার জেলেকে অন্য একটি ট্রলার উদ্ধার করেছে। তবে তাদের ট্রলারের ১১ জেলের এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

জাহাজমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম বিল্লাহ বলেন, দুর্ঘটনার শিকার ট্রলারটি জাহাজমারার আমতলী ঘাটের। নিখোঁজ ১১ জেলের মধ্যে পাঁচ জনের বাড়ি আমতলী গ্রামে। অন্য ছয় জনের বাড়ি একই উপজেলার হরনী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, হাতিয়া উপকূল থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে একটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চার জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ১১ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।

হাতিয়া কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার ওবায়েদ উল্লাহ বলেন, ট্রলারডুবির খবর পেয়ে সাগরে গেছে কোস্টগার্ডের সদস্যরা। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। সন্ধ্যায় ফিরে এসেছেন কোস্টগার্ডের সদস্যরা। আমরা বিষয়টি ভোলা কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশকে জানিয়েছি। সকালে তারা উদ্ধারকাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছে।