বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল থেকে উপকূলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে এবং সমুদ্র কিছুটা উত্তাল রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।
পর্যটকদের আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সমুদ্র উত্তাল থাকায় গোসলে নামা থেকে বিরত থাকা এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও আবহাওয়া অফিসের আপডেট অনুসরণ করে নিরাপদে থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা বেকায়দায় পড়েছেন। কুয়াকাটার আশপাশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে যেতে পারছেন না তারা। সমুদ্র উত্তাল থাকায় গোসলে নামা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তবুও কিছু পর্যটক আবহাওয়ার সতর্কতা উপেক্ষা করে সৈকতে অবস্থান করছেন। পর্যটকদের সতর্কের জন্য মাইকিং করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
খুলনা থেকে আগত পর্যটক নিলয় ও স্নেহা দম্পতি বলেন, ‘গতকাল কুয়াকাটায় বেড়াতে এসেছি। সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে কোথাও বের হতে পারিনি। সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত দেখার জন্য এসেছি। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেটি সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাই আজ রাতের গাড়িতে আবার গন্তব্যে ফিরে যাবো।’
এ বিষয়ে ট্যূরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিওনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত। বঙ্গোপসাগরে সতর্কতা সংকেত চলাকালে পর্যটকদের গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য আমরা সৈকত এলাকায় মাইকিং করে যাচ্ছি। এ ছাড়াও সৈকত এলাকায় পুলিশের সদস্যরা পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক টহল দিয়ে যাচ্ছেন।’
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, ‘উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সৃষ্ট লঘুচাপটি আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। লঘুচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে।’
তিনি আরও জানান, পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। তা আগামী ৩০ মে পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।