যুব দিবসে সৈকতের ঝাউবন থেকে ১১৭ বস্তা প্লাস্টিক বর্জ্য পরিষ্কার

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের পাশে গড়ে ওঠা ঝাউবন থেকে ১১৭ বস্তা প্লাস্টিক বর্জ্য পরিষ্কার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে ইয়ুথ কনজারভেশন করপস্‌ (ওয়াইসিসি) আয়োজিত পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসেবে এসব বর্জ্য পরিষ্কার করা হয়।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে দিনব্যাপী পরিবেশ সচেতনতামূলক আয়োজনের অংশ হিসেবে ১২০ জন তরুণ ওই পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন। সকালে সৈকতের কবিতা চত্বর থেকে শুরু করে শৈবাল বিচ পর্যন্ত পরিষ্কার অভিযান চালানো হয়। 

১২০ জন যুবক ওই পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন

অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান। এ সময় কক্সবাজার সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এম আনোয়ারুল হক ও ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তা, স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা ইপসা, এআইটি কক্সবাজার এবং গ্রিন সেভার্সের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 

ওয়াইসিসি’র ফিল্ড কোঅর্ডিনেটর রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আন্তর্জাতিক যুব দিবসে সকালে সমুদ্রসৈকতের কবিতা চত্বর থেকে শৈবাল পয়েন্টের ঝাউবাগানে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়। এ সময় ১১৭ বস্তা প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণ করা হয়। বিকালে কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে কলাতলী মোড় পর্যন্ত র‌্যালি ও গণস্বাক্ষর অভিযান শুরু হয়।’ 

কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে কলাতলী মোড় পর্যন্ত র‌্যালি ও সাক্ষরতা অভিযান শুরু হয়

‘যুব দিবসের অঙ্গীকার, পরিবেশ রাখবো পরিষ্কার’ স্লোগানে মুখরিত র‍্যালিতে ওয়াইসিসি সদস্যদের পাশাপাশি সমুদ্র দেখতে আসা পর্যটকরাও অংশ নেন। র‍্যালি শেষে কলাতলী সমুদ্র সৈকতে ‘প্লাস্টিক, ময়লা, আবর্জনা- সৈকতে আমরা ফেলবো না’ শীর্ষক একটি গণস্বাক্ষর অভিযান পরিচালিত হয়। সহস্রাধিক পর্যটক স্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশ নেন।

উল্লেখ্য, ‘ইউএস ফরেস্ট সার্ভিস’ এবং ‘ইউএসএআইডি’ যৌথ উদ্যোগে কক্সবাজার ও বান্দরবানের তরুণ-তরুণীদের নিয়ে কাজ করছে। গত তিন বছর ধরে স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা ইপসা, এআইটি কক্সবাজার, তাজিংডং এবং গ্রিন সেভার্সের সহযোগিতায় প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণসহ কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। সাধারণত ১৮-২৪ বছর বয়সী সুবিধাবঞ্চিত এবং পড়াশোনাবঞ্চিত তরুণ-তরুণীর প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে।