মা হলো ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার’ কিশোরী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া এক কিশোরী সন্তানের মা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেয়।

ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, গত বছরের ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে একটি দোকানে মশার কয়েল আনতে যায় ওই কিশোরী। এ সময় দোকানদার রুবেল মিয়া ও তার পরিচিত সাইদুল দোকানে ছিল। তারা তাকে দোকানের পেছনে নিয়ে মুখে গামছা বেঁধে ধর্ষণ করে। ঘটনা কাউকে জানালে কিশোরীকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে প্রাণ ভয়ে ছয় মাস ঘটনাটি কাউকে জানায়নি। পরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি পরিবারের নজরে আসে। পরে মায়ের কাছে খুলে বলে। চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ওই কিশোরীকে ২৩ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা বলে নিশ্চিত করেন।

২৪ এপ্রিল রাতেই রুবেল ও সাইদুলকে আসামি করে ওই কিশোরীর বাবা কসবা থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রুবেলকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। 

এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে সিজারিয়ান অপারেশনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেয় ওই কিশোরী। বর্তমানে কিশোরী ও তার সন্তান সুস্থ আছে বলে জানান হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, গত ১০ আগস্ট ওই কিশোরীকে আমাদের হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসক ডা. মারিয়া পারভিন তার সিজারিয়ান অপারেশন করেন। বর্তমানে মা ও তার সন্তান সুস্থ আছেন।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মো. শাহীন জানান, এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর পুলিশ রুবেল মিয়া নামে এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে। রুবেল ও কিশোরীর সদ্য জন্ম নেওয়া নবজাতকের নমুনা নিয়ে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। পলাতক অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাকে গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা নেওয়া হবে। নমুনা নেওয়ার পর ওই নবজাতকের পিতৃ পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে। এরপর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।