শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখলে দেশ এগিয়ে যাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‌‘শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। এটি সম্ভব না হলে সবার জন্য বিপদ। তাই বিপদ যাতে না আসে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমরা যদি শেখ হাসিনাকে সুরক্ষিত রাখতে পারি, তাহলে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে পারবো। তাকে টিকিয়ে রাখলে দেশ এগিয়ে যাবে।’

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘১৯৭৫ সালে যেমন দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল, ঠিক তেমনই এখনও দেশকে অস্থিতিশীল করতে নানাভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, আমাদের দেশে কিছু দুষ্টু লোক আছে। দেশে যখন কিছু অসুবিধা হয় তখন সেই দুষ্টু চক্র সেটা নিয়ে দেশে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। আমাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের কারণে প্রায় ২৮ লাখ মানুষ ভারতে ভ্রমণে যায় এবং ভারতের কয়েক লাখ মানুষ আমাদের দেশে কাজ করে। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক সুন্দর। সুতরাং আমরা কেউ উসকানিমূলক কাজে লিপ্ত হবো না।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এক বছর আগে পূজার সময় কুমিল্লায় পূজা মণ্ডপে কোরআন শরীফ রেখে এবং ছবি তুলে আপলোড করার ফলে ভাইরাল হয়। ফলে কিছু মোল্লা গোষ্ঠী সেখানে আক্রমণ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে সেখানে পুলিশ গুলি করে। সে সময় আমাদের তথ্যমতে ছয় জন লোক মারা যায়। তাদের মধ্যে চার জন মুসলিম ও দুই জন হিন্দু। আমরা চাই না দেশের একটা লোকও মারা যাক। কিন্তু বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম প্রচার করেছে সেখানে অনেক নারী নির্যাতিত হয়েছেন। অথচ সেখানে একজন নারীও ধর্ষিত হননি।’

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘শ্রীকৃষ্ণ জন্ম নিয়েছিলেন অত্যাচারী রাজা কংসের কারাগারে। শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করে বিশ্বকে শেকল ভাঙার কাহিনী শুনিয়ে গেছেন। মানুষের জন্য দিয়ে গেছেন মানবপ্রেমের অবিনশ্বর বাণী। সেটি এমন এক সময় যখন দুষ্টু লোকেরা ন্যায় নীতি ও সত্যকে প্রায় নষ্ট করে ফেলেছিল। ঠিক তখনি সৃষ্টের পালন আর দুষ্টের দমনের জন্য পৃথিবীতে এসেছিলেন। এক সময় হয়ে উঠলেন ন্যায়ের প্রতিমূর্তি। যখন মহাভারতে ন্যায় এবং অন্যায়ের মধ্যে কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। তখন শ্রীকৃষ্ণ ন্যায়কে রক্ষার জন্য ন্যায়ের পক্ষের যোদ্ধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। আমরাও ন্যায়ের পক্ষের যোদ্ধা। আমরাও দেশে সংকীর্ণতাবাদ থেকে দূরে থাকতে চাই।’

জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটির সভাপতি সুকুমার চৌধুরীর সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী উদ্বোধন করেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বাঁশখালী উপজেলার সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, এস কে সিকদার, চন্দন তালুকদার, দুলাল চন্দ্র দে, গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে, দুলাল চন্দ্র দে, শংকর সেন বক্তৃতা করেন।