সিজারের সময় প্রসূতির কিডনিনালি কেটে ফেলার অভিযোগে মামলা

ফেনীর দাগনভূঞায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় এক প্রসূতির কিডনিনালি কেটে ফেলার অভিযোগে চিকিৎসক, নার্সসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুজ জোহরা মুনার আদালতে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী ফেরদৌস আরার স্বামী শাহাদাত হোসেন।

মামলার আসামিরা হলেন- গাইনি চিকিৎসক ডা. চম্পা কুন্ডু, নার্স কলি রানী ও আয়েশা জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু নাসের তুহিন।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৩০ জুন রাতে প্রসব ব্যথা উঠলে উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের আকবর সরদার বাড়ির ফেরদৌস আরাকে দাগনভূঞার ফাজিলের ঘাট রোডের আয়েশা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসক চম্পা কুন্ডুর কাছে চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দেয়। ওই চিকিৎসক এসে সিজারিয়ান অপারেশন করেন। এরপর ওই নারীর অনবরত প্রস্রাব বের হওয়ার পাশাপাশি জ্বর, পেট ব্যথাসহ শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। গত ২৪ জুলাই ফেনী জেনারেল হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করলে কিডনিনালিতে আঘাতের বিষয়টি পরীক্ষায় ধরা পড়ে। ৩ আগস্ট রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দিয়ে রোগীকে ছাড়পত্র দেয় ফেনী জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে নিজ বাড়িতে বিনা চিকিৎসায় অসুস্থ অবস্থায় দিন পার করছেন ওই নারী। এই বিষয়ে চিকিৎসক চম্পা কুন্ডুকে জানালে তিনি ঢাকা বা চট্টগ্রামে নিয়ে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা দিতে বলেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহাজাহান সাজু বলেন, আদালত বাদীর বক্তব্য শুনে মামলাটি আমলে নিয়েছেন।

দাগনভূঞা আয়েশা জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু নাসের তুহিন বলেন, ‘রাতে ওই রোগী আসার পর চিকিৎসক চম্পা কুন্ডু চিকিৎসা করেন।’ এ নিয়ে আর কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

এই ঘটনায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে গত ৬ আগস্ট তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।