২০০ টন পেঁয়াজ ফেলা হলো ময়লার ভাগাড়ে

চট্টগ্রামে নষ্ট হয়েছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) আমদানি করা ২০০ টন পেঁয়াজ। নষ্ট হওয়া এসব পেঁয়াজের মূল্য প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। পেঁয়াজগুলো ফেলে দেওয়া হয়েছে সিইপিজেড নেভি মার্কেটের সামনের ময়লার ভাগাড়ে। এর থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। এ দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী মৌখিক অভিযোগ দিয়েছে টিসিবি কর্মকর্তাদের। এলাকাবাসীর দাবির মুখে শুক্রবার বিকাল থেকে এসব পেঁয়াজ মাটিচাপা দেয়া শুরু করেছে সংস্থাটি।

টিসিবি সূত্র জানিয়েছে, গত আগস্টে তুরস্ক থেকে ১১টি লটে দুই হাজার ৮০০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। জাহাজ থেকে এসব পেঁয়াজ খালাসে বেশি সময় লাগায় পচন ধরেছে। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সঠিক সময়ে কাগজপত্র সরবরাহ করতে না পারায় এসব পেঁয়াজ খালাসে দেরি হয়। এ কারণে পেঁয়াজে পচন ধরেছে।

তুরস্ক থেকে আমদানি করা এসব পেঁয়াজ সরবরাহের দায়িত্ব ছিল কিং স্টার করপোরেশন নামে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানের।

জাহেদ হোসেন বাবলা নামে নেভি গেট এলাকার এক বাসিন্দা জানান, গত কয়েকদিন আগে ময়লার ভাগাড়ে টিসিবি পচা পেঁয়াজ ফেলে দিয়েছে। এসব পেঁয়াজ থেকে এখন চরম দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এলাকার লোকজন টিসিবি অফিসে কর্মকর্তাদের বলে এসেছেন। তারা ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।

ctg1

টিসিবির চট্টগ্রাম কার্যালয়ের অফিস প্রধান জামাল উদ্দিন আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগস্ট মাসে ১১টি লটে তুরস্ক থেকে দুই হাজার ৮০০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। গত তিন দিন আগে আমরা এসব পেঁয়াজ বুঝে পেয়েছি। এর মধ্যে একটি লটে প্রায় ২০০ টন পেঁয়াজ নষ্ট পাওয়া যায়। আমরা বাছাই শেষে এ ২০০ টন পেঁয়াজ ময়লার ভাগাড়ে ফেলে দিয়েছি। বাকি ১০ লট পেঁয়াজ ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘নষ্ট পেঁয়াজের দায়ভার টিসিবি নেবে না। আমরা যতটুকু ভালো পেয়েছি ততটুকুর মূল্য পরিশোধ করবো। খারাপ পেঁয়াজের দায়ভার সম্পূর্ণ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের। কেননা তাদের ভুলে এসব পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে।’

সরকারি ট্রেডিং করপোরেশনের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘নষ্ট পেঁয়াজ ময়লার ভাগাড়ে ফেলা হয়। সেখানে দুর্গন্ধ ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে এসব পেঁয়াজ মাটিচাপা দেওয়া হচ্ছে। আজ রাতের মধ্যে মাটিচাপা দেওয়া সম্পন্ন হলে আর দুর্গন্ধ ছড়াবে না।’