বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণ

৩ মাস পর হাসেমের বিচ্ছিন্ন পা ফেরত পেলো পরিবার

সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে নিহত গাড়িচালক আবুল হাসেমের বিচ্ছিন্ন হওয়া পা তিন মাস পর ফেরত দিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ডিএনএ ফলাফলে জানা যায় উদ্ধার হওয়া বিচ্ছিন্ন পা নিহত চালক আবুল হাসেমের। পরে পুলিশ তার স্বজনদের কাছে তা বুঝিয়ে দেয়। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক।

তিনি জানান, নিহত আবুল হাশেমের লাশ স্বজনদের কাছে আগেই হস্তান্তর করা হয়। তবে তার বিচ্ছিন্ন পায়ের হদিস মিলছিল না। পরে বিএম কনটেইনার ডিপোতে পুলিশের তল্লাশিতে একটি বিচ্ছিন্ন পা উদ্ধার হয়। তবে সেটি কার তা অজানা ছিল। পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ফ্রিজে তা রাখা হয়, করা হয় ডিএনএ পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার পাওয়া ডিএনএ রিপোর্টে দুই লাশ ও একটি পায়ের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। 
 
তিনি জানান, ডিএনএ রিপোর্ট অনুযায়ী লাশ দুটি নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার চৌরংগী বাজার এলাকার হেদায়েত উল্লাহর ছেলে মাইন উদ্দিন (২১) ও একই জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুরের মৃত আবুল কাসেমের ছেলে মো. জুয়েলের (৩১)। শনাক্ত হওয়া পা ছিল সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের মসজিদ্দা এলাকার মো. ছবিরের ছেলে আবুল হাসেমের। এরআগে, গত ৭ জুলাই ডিএনএ পরীক্ষায় শণাক্তের মাধ্যমে হাসেমের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছিল পুলিশ। 

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, এখনও হাসপাতালের ফ্রিজে বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণে নিহত ১১ জনের লাশ রয়েছে। ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার পর সে সব লাশ হস্তান্তর করা হবে।