মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ, ওসিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার সাবেক ওসি মো. কামরুজ্জামানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. অলি উল্লাহর আদালতে এ মামলা করা হয়।

মামলার বাদী বায়েজিদ বোস্তামী থানার মুরাদনগর এলাকার সুলতান আহমেদের ছেলে মো. রুবেল।আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। 

বাদীপক্ষের আইনজীবী আজিজুল হক আদিল জানান, আদালত বলেছেন, সহকারী পুলিশ কমিশনারের নিচে নয় এমন কর্মকর্তাকে দিয়ে মামলার তদন্ত করতে বলেছেন।

মামলার অন্য আসামীরা হলেন—বায়েজিদ বোস্তামী থানার এসআই মো. মনিরুল ইসলাম, আজাহার ইসলাম আজাহার, মো. রবিউল ইসলাম, কে এম নাজিবুল ইসলাম তানভীর, কাজী মো. তানভীরুল আজম, বশির গাজী, আসাদুর রহমান, সাহাদাত ও বায়েজিদ বোস্তামী থানার এএসআই সৈয়দ আবুল হাশেম, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. আবদুল মালেক, লিটন শীল, রবিউল এবং মো. শাহজাহান ওরফে সোর্স আকাশ।

মামলার বাদী মো. রুবেল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি বায়েজিদ থানা পুলিশের আক্রোশের শিকার হয়েছি। আমার ঘর থেকে অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধারের নাটক সাজিয়ে মিথ্যা মামলা করা হয়। আমি মিথ্যা মামলায় ৯ মাস ২২ দিন কারাভোগ করে জামিনে বের হয়েছি। মূলত পুলিশকে চাহিদার তিন লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়াতে তারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’

এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর বায়েজিদ বোস্তামী থানার সাবেক ওসি মো. কামরুজ্জামানসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন বার্মা কলোনির নুরুল আমিনের স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম (৫০) বাদী হয়ে এই মামলার করেন।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. অলি উল্লাহর আদালতে এ মামলা করা হয়। মামলার বাকি আসামিরা হলেন—বায়েজিদ বোস্তামী থানার সাবেক এসআই মেহের অসীম দাশ, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. রবিউল হোসেন, কে এম নাজিবুল ইসলাম তানভীর, নুর নবী ও মো. শাহজাহান ওরফে থানার সোর্স আকাশ। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন।