‘রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের’ মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেলেন বাবা-ছেলে

‘রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের’ ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের অপহৃত দুই কৃষক। অপহরণের তিন দিন পর শনিবার (০১ অক্টোবর) দুপুরে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পান তারা।

ওই দুই কৃষক হলেন হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী এলাকার মৃত উলা মিয়ার ছেলে নজির আহমদ ও তার ছেলে মোহাম্মদ হোসাইন। এরই মধ্যে শনিবার সকালে মরিচ্যাঘোনা এলাকার পেয়ারা বাগান থেকে মৃত আবদুল গফুরের ছেলে মোহাম্মদ শফিককে (৩০) অপহরণ করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। তার পরিবারের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী। 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মরিচ্যাঘোনা ও পানখালী এলাকা থেকে চার জনকে অপহরণ করেছিল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। ওই দিন সন্ত্রাসীদের কবল থেকে পালিয়ে আসেন দুজন।

ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর বরাত দিয়ে চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, ‘কৃষিজমিতে কাজ করার সময় গত বৃহস্পতিবার সকালে পশ্চিম পানখালী এলাকার নজির আহমদ ও তার ছেলে মোহাম্মদ হোসাইন, একই এলাকার মো. শাহজাহান ও মো. মেহেদীকে অপহরণ করেছিল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এর মধ্যে শাহজাহান ও মেহেদী পালিয়ে রক্ষা পেয়েছেন। তবে শাহজাহানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পালানোর সময় তাকে গুলি করা হয়েছিল।’

শাহজাহানের বাবা আবুল মঞ্জুর বলেন, ‘আমার ছেলে পাহাড়ে কৃষিজমিতে কাজ করতে গেলে তাকেসহ চার জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। পরে পাঁচ লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না পেয়ে ছেলেকে গুলি করেছিল তারা। ছেলে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’

মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসা নজির আহমদ ও তার ছেলে মোহাম্মদ হোসাইন জানান, অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার পর তাদের মারধর করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। পরে ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে এসেছেন তারা। 

টেকনাফ থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে অপহরণের বিষয়টি শুনেছি। এরপর পুলিশি তৎপরতা জোরদার করা হয়। অপহরণের শিকার ব্যক্তিরা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে এসেছেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’