কলেজছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, কারাগারে পুলিশ কর্মকর্তা

কুমিল্লায় এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। জেলার বুড়িচংয়ে অটোরিকশায় পুলিশ কর্মকর্তার হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই কলেজছাত্রী। এ অভিযোগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর পুলিশ কর্মকর্তাসহ দু’জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রবিবার (২ অক্টোবর) বিকালে বুড়িচং থানার ওসি মারুফ রহমান বাংলা ট্রিবিউনেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন বুড়িচং থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল মালেক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক বিল্লাল।  

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, জেলার বুড়িচং রাজাপুর ইউনিয়নের এক কলেজছাত্রী মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে ১৭ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে বের হয়ে কুমিল্লা-বাগড়া সড়কের লড়িবাগ সড়কে যান। এ সময় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছাত্রীর সামনে এসে দাঁড়ায়। তখন ওই কলেজছাত্রী অটোরিকশায় ওঠার পর পুলিশের পোশাক পরিহিত এক লোক তার ওপর যৌন নির্যাতন চালায়। পরে দীর্ঘ দুই ঘণ্টা অটোরিকশাটি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ছাত্রীকে তার বাড়ির সামনে নামিয়ে দেয়। এ সময় ভালো সম্পর্ক রাখলে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বলে ওই ব্যক্তি। 

এ ঘটনার পর ওই ছাত্রী কলেজ যাওয়া বন্ধ করে দেন। তার পরিবার থেকে কলেজে না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে ছাত্রী বিষয়টি স্বজনদের জানান। থানায় খোঁজ নিয়ে পরিবার জানতে পারে, অটোরিকশায় থাকা লোকটি কুমিল্লার বুড়িচং থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল মালেক ও অটোরিকশাচালক ছিলেন মো. বিল্লাল হোসেন।

এ ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে উভয়ের বিরুদ্ধে কুমিল্লা আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশনায় ৩০ সেপ্টেম্বর তাদেরকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বুড়িচং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কবির হোসেন বলেন, আসামিরা বর্তমানে কারাগারে আছেন। অটোরিকশাটি এখনও জব্দ হয়নি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।

বুড়িচং থানার ওসি মারুফ রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তারা দুই জন কুমিল্লা কারাগারে রয়েছেন।