টেকনাফ উপকূলে ট্রলারডুবি: রোহিঙ্গাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে কক্সবাজারের টেকনাফে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে ট্রলারডুবির ঘটনায় রোহিঙ্গাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে টেকনাফ থানায় মামলাটি করেন বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ ফাঁড়ির এসআই হুসনে মুবারক। মামলায় ২৪ জনকে এজাহারভুক্তসহ ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে আসামি করা হয়েছে।
 
মামলার প্রধান আসামি শহিদ উল্লাহ। তিনি টেকনাফ সাবরাংয়ের কাটাবনিয়ার হাসান আলীর ছেলে। এই মামলায় মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত আটক ছয় জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাদের মধ্যে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় নাগরিক রয়েছেন।

আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ কল করে ট্রলারডুবির খবর দেয় রোহিঙ্গা কিশোর

তারা হলেন—উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পের মো. রশিদ, একই ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. শরীফ, কক্সবাজারের মহেশখালী কুতুবজুম গ্রামের বাসিন্দা মো. সেলিম (২৪), একই এলাকার কোরবান আলী, ঈদগাঁর হাজিপাড়ার মো. আবদুল্লাহ (২০) ও টেকনাফের কাটাবনিয়া এলাকার শহীদ উল্লাহ (২৮)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর মধ্য গতকার ট্রলারডুবিতে উদ্ধার রোহিঙ্গাসহ ছয় জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে। পাশাপাশি উদ্ধারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে ক্যাম্পে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

আরও পড়ুন: টেকনাফ উপকূলে ট্রলারডুবি, সৈকতে ভেসে এলো শিশুর লাশ

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভোরে অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় টেকনাফের বাহারছড়ার শীলখালী এলাকায় ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রোহিঙ্গাসহ ৪৫ জনকে জীবিত এবং তিন নারী ও এক শিশুকে মৃত উদ্ধার করেছেন কোস্ট গার্ডের সদস্যরা। জীবিতদের মধ্যে আট জন রোহিঙ্গা নারী, ৩৩ জন পুরুষ ও চার জন বাংলাদেশি। নিহতরা হলেন- উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এর তৈয়বা খাতুন (১৮), কিসমত আরা (১৭) ও ক্যাম্প-১৮ এর উম্মে সালমা (১৮)। রাতে মৃত উদ্ধার শিশুর পরিচয় জানা যায়নি।