দেবী বিদায়ে পতেঙ্গায় ভক্তদের ঢল

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে চলছে প্রতিমা বিসর্জন। বুধবার (৫ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটা থেকে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়। নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, নেভাল-২, অভয়মিত্র ঘাট এবং কালুরঘাট সেতু এলাকায় প্রতিমা বিসর্জন দেন ভক্তরা। দেবী দুর্গাকে বিদায়ে জানাতে দুপুর থেকে বিপুল সংখ্যক ভক্তের ভিড়ে মুখরিত হয়ে ওঠে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। এ সময় ভক্তদের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষও ভিড় জমান। 

দুপুরের পর থেকে ঢাকের বাদ্য, ঘণ্টার শব্দ এবং হিন্দু নারীদের উলুধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠে পুরো সৈকত এলাকা। পরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন। এর আগে মহানগরীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপ থেকে বিসর্জনের জন্য ট্রাকে করে সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা নিয়ে আসেন ভক্তরা।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস দেবী দুর্গা তার সন্তান-সন্ততি নিয়ে স্বর্গ থেকে বাবার বাড়িতে (মর্ত্য) নেমে আসেন এবং ভক্তকূল কর্তৃক পাঁচ দিন পূজিত হয়ে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে তিনি পুনরায় কৈলাসে (স্বর্গে) ফিরে যান।

চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লায়ন আশীষ কুমার ভট্টচার্য্য বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মহানগরীতে এবার ১৬টি থানা এলাকায় ব্যক্তিগত ও ঘটপূজাসহ ২৮২টি মণ্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়। 

পতেঙ্গা থানার ওসি মো. মাহফুজুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে সকাল থেকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সব ধরনের নাশকতা এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে। দুপুর থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন করছেন ভক্তরা। 

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্যানেল মেয়র প্রফেসর নিসার আহমেদ মনজুর, কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন, সিএমপি বন্দর জোনের ডিসি শাকিলা সুলতানা, ডিসি ট্রাফিক মোস্তাফিজুর রহমান, মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি লায়ন আশিষ ভট্টচার্য, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার প্রমুখ।