ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি স্কুলে সাপের উপদ্রব

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাপের উপদ্রব বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে স্কুল থেকে ওঝার মাধ্যমে বড় বড় দুটি গোখরা সাপ ধরা হয়। এ ঘটনার পর বিদ্যালয়সহ এর আশপাশের এলাকায় সাপ নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আতঙ্কে আছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও।

জানা গেছে, উপজেলার বড়াইল হোসাইনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে একটি একতলা বিশিষ্ট আধা পাকা ভবনে প্রতিদিন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বিদ্যালয়টিতে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত অন্তত সাড়ে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। এরই মধ্যে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর বিদ্যালয়টিতে গোখরা ও কালি দাঁড়াশ সাপের প্রথম দেখা মেলে। ওই সময় গোখরা সাপের ১৬টি বাচ্চা মারা হয়েছিল। বছর না যেতেই গত কয়েকদিন ধরে আবারও বিদ্যালয়টিতে সাপের উপদ্রব বেড়েছে।

বাধ্য হয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাপ ধরার ওঝাকে খবর দেন। পরে আজ সকালে ওঝার মাধ্যমে বিদ্যালয়ের মাঠের পাশের ঝোপঝাড় থেকে বড় আকারের দুটি গোখরা সাপ ধরা হয়।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রাবেয়া খাতুন বলেন, অনেকদিন ধরেই স্কুলে এই সাপের উপদ্রব। তবে গত কয়েকদিন ধরে মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে। বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জানিয়েছিলাম। আজ সকালে ওঝারা স্কুলে এসে দুটি বড় আকারের গোখরা সাপ ধরেন। একটি সাপ স্কুলের শৌচাগার থেকে অপরটি এর পেছন থেকে ধরা হয়। আমরা এখনও আতঙ্কে আছি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম বলেন, অনেক দিন ধরেই এই স্কুলে সাপের উপদ্রব। তবে গত কিছু দিন ধরে এই উপদ্রব মাত্রারিক্ত বেড়েছে। সাপের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় সপ্তাহ খানেক ধরে ওঝার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। আজ সকালে ওঝা স্কুলে এসে বড়-বড় দুটি গোখরা সাপ ধরেন।

তিনি আরও বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে বিভিন্ন প্রজাতির সাপের বাচ্চা ঢুকে পড়ছিল। পরে গোখরা ও কালি দাঁড়াশ সাপের ১৬টি বাচ্চা মারা হয়েছিল। গত চার বছর আগেও স্কুল থেকে বড় একটি সাপ মারা হয়েছিল। সাপ মরার কার্বলিক অ্যাসিড বিদ্যালয়ের সব খানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্কুলের ভেতরে আর কোনও সাপ বা সাপের বাচ্চা নেই বলে ওঝা আমাদের নিশ্চিত করেছেন। বিদ্যালয়ের পাশে জমি থাকায় সব সময় এই বিদ্যালয়ে সাপের উপদ্রব লেগে থাকে। তবে এখন পর্যন্ত সাপ কাউকে কামড় দেয়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।