ছুরিকাঘাতে আহত শ্রমিকের মৃত্যু, খাতুনগঞ্জে পণ্য ওঠানামা বন্ধ 

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ছুরিকাঘাতে আহত শ্রমিক মাসুদ মাঝি (৪৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) তার মৃত্যু হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দেশে ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বড় পাইকারি মোকাম খাতুনগঞ্জে পণ্য ওঠানামা বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা।

মাসুদ মাঝি ভোলার দৌলতখান থানার চরখলিফা ইউনিয়নের মো. বেলায়েত হোসেন বেপারির ছেলে। গত সোমবার সন্ধ্যায় তাকে ছুরিকাঘাত করেছিল দুর্বৃত্তরা।

চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, সোমবার সন্ধ্যায় মাসুদ নামে এক শ্রমিককে আহতাবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এরপর থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ সকালে তার মৃত্যু হয়েছে।

বৃহত্তর খাতুনগঞ্জ মালামাল লোডিং-আনলোডিং শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক আবদুল কাদির গণ্যমাধ্যমকে বলেন, সোমবার দুপুরে মাসুদের সঙ্গে তর্কে জড়ান রাসেল নামে এক পিকআপ ভ্যানের চালক। পরে সন্ধ্যার দিকে রাসেলের নেতৃত্বে মাসুদকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় রাসেলকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন শ্রমিকরা।

তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী সমিতির আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছিল। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাসেলসহ জড়িতদের গ্রেফতার করা না গেলে আবার কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবীর বলেন, ‌‘চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত পিকআপ ভ্যানচালক মারা গেছেন। প্রতিবাদে পণ্য ওঠানামা বন্ধ রেখেছেন শ্রমিকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের তিনটি টিম সকাল থেকে খাতুনগঞ্জে আছে। শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা চলছে।’