চট্টগ্রাম বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত, কার্যক্রম বন্ধ

উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। এর ফলে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে জারি করা হয়েছে  ৩ (তিন) নম্বর নৌ-বিপদ সংকেত। আপাতত বন্দরের সব ধরনের কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে। দুর্যোগকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। 

সোমবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দর কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, রবিবার মধ্যরাত থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে সব ধরনের কাজ বন্ধ রয়েছে। বহির্নোঙরে থাকা জাহাজগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেটিতে থাকা সব জাহাজ বের করে দেওয়া হয়। সেগুলোকে নিরাপদে অবস্থান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যেহেতু ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। ওই অনুযায়ী আপাতত বন্দরের সব ধরনের কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আমরা সাধ্যমতো সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। চট্টগ্রাম বন্দরে বিশেষ সতর্ককতা এলার্ট-৩ জারি করা হয়েছে।’

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্ব্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এদিকে সাগর আরও বেশি বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের নদীবন্দরগুলোকে ৩ (তিন) নম্বর নৌ-বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ৩ (তিন) নম্বর নৌ-বিপদ সংকেতের অর্থ হচ্ছে বন্দর এলাকা ঝড়ে কবলিত। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ একটানা ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগের একটি সামুদ্রিক ঝড় সহসাই বন্দর এলাকায় আঘাত হানতে পারে। সকল প্রকার নৌ-যানকে অবিলম্বে নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণ করতে হবে।