চিকিৎসক ডেলিভারির তারিখ দিলেন ২২ নভেম্বর, বাড়ি ফেরার পথে সন্তান প্রসব

চাঁদপুর শহরের ফেমাস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে নবজাতক জন্মের সম্ভাব্য তারিখ জানতে গিয়েছিলেন এক নারী। সেখান থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে একটি স্কুল মাঠে সন্তান প্রসব করেন তিনি।

ওই মায়ের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলায়। নবজাতকটি তার দ্বিতীয় পুত্র সন্তান।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চেকআপের পর কিছু দূর যেতেই বিকাল ৩টার দিকে ওই মায়ের প্রসব বেদনা শুরু হয়। এ সময় চাঁদপুর সদর হাসপাতালের পাশে অবস্থিত লেডি প্রতিমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে যান তিনি। তবে তার সঙ্গে কোনও স্বজন না থাকায় পরিস্থিতি দেখে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তাৎক্ষণিকভাবে স্কুলের মাঠের পেছনের গেট খুলে দিয়ে নবজাতক ভূমিষ্ঠ হওয়ার ব্যবস্থা করেন।

প্রধান শিক্ষিকা মোসাম্মৎ মোর্শেদা ইয়াছমিন বিষয়টি চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালকেও অবহিত করেন। পরে হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও)-র নির্দেশে নার্সিং বিভাগে কর্মরত নার্স ও স্টাফরা ঘটনাস্থলে আসেন। তবে তারা আসার আগেই নবজাতক ভূমিষ্ঠ হয়।

প্রধান শিক্ষিকা মোসাম্মৎ মোর্শেদা ইয়াছমিন জানান, হাসপাতালের নার্সরা ভূমিষ্ঠ হওয়া নবজাতক ও মাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেছে।

ওই নারীর স্বজনরা জানান, বাবার বাড়ি মধুরোড থেকে তিনি পরীক্ষার জন্য চাঁদপুরে আসেন। আল্ট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্টে তার ডেলিভারির সম্ভাব্য তারিখ ছিল ২২ নভেম্বর।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) আসিবুল আহসান চৌধুরী জানান, লেডি প্রতিমা বালিকা বিদ্যালয় থেকে সংবাদ আসে প্রসব বেদনায় এক মা কতরাচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে আমরা নার্সিং বিভাগের নার্স, স্টাফদের স্ট্রেচারসহ পাঠাই। পর্যবেক্ষণের জন্য তিনি বর্তমানে মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। মা ও নবজাতক উভয়েই সুস্থ আছেন।