৭ দিনেও কৃষকের লাশ দেয়নি বিএসএফ, কাঁটাতারের দিকে তাকিয়ে স্ত্রী-সন্তানরা

ফেনীর পরশুরামের বাঁশপদুয়া সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে নিহত কৃষক মেজবাহ উদ্দিনের (৪৭) মরদেহ সাত দিনেও ফেরত দেয়নি বিএসএফ। তার মরদেহ ফেরত পাওয়ার অপেক্ষায় সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন স্ত্রী, তিন কন্যা সন্তানসহ স্বজনরা। 

পরশুরাম থানার ওসি (তদন্ত) পার্থ প্রতিম দেব বলেন, গত বুধবার রাত ৩টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফের সমাঝোতা বৈঠকের পর ভারতের সীমারেখার মধ্যে থাকা লাশটি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ নিয়ে যায়। পরদিন বৃহস্পতিবার লাশ ফেরত দেওয়া হবে বলে বৈঠকে প্রতিশ্রুতি দিলেও সোমবার রাত পর্যন্ত ফেরত দেয়নি। 

মেজবাহ উদ্দিনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, গত ১৩ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আমার স্বামী বাঁশপদুয়া গ্রামের ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ধান কাটতে যান। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা তাকে জোর করে ধরে নিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থলে তাকে কিল-ঘুষি এবং লাথি দিয়ে আঘাত করতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পর তিনটি গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর বিষয়টি এলাকার লোকজন ও স্থানীয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সীমান্ত ফাঁড়ি এবং পরশুরাম থানা পুলিশকে মৌখিকভাবে জানাই।'

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বুধবার সকালে মেজবাহ উদ্দিনের লাশ ভারতীয় সীমান্তের একশ গজের মধ্যে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা বিজিবিকে জানায়।

ফেনীর ৪ বিজিবির গুথুমা সীমান্ত ফাঁড়ি সূত্র জানায়, বিএসএফের সাঙ্গে লাশ হস্তান্তরের ব্যাপারে যোগাযোগ ও পতাকা বৈঠক হয়েছে। গত বুধবার রাত ৩টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফের সমাঝোতার পর ভারতের সীমারেখার মধ্যে থাকা লাশটি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ নিয়ে যায়। পরদিন বৃহস্পতিবার লাশ ফেরত দেওয়া হবে বলে বৈঠকে প্রতিশ্রুতি দিলেও সোমবার রাত পর্যন্ত ফেরত দেয়নি।

ফেনীর ৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এ কে এম আরিফুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্ত ও আনুষ্ঠানিকতা শেষে লাশ হস্তান্তরের কথা রয়েছে। সম্ভবত বিএসএফ আইনি পক্রিয়া শেষ করতে পারেনি। এজন্য লাশ দেয়নি।