চাঁদপুরে বিএনপির ১০ নেতাকর্মী গ্রেফতার

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী ইমাম হোসেনসহ দলটির ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে গ্রেফতারদের আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। এর আগে বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গত ২৯ অক্টোবর (শনিবার) বিকালে উপজেলা ও পৌরসভা যুবদলের যৌথ আয়োজনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‍্যালি থেকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় ওসি মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দসহ বেশ কয়েকজন পুলিশের সদস্য ও দলীয় নেতাকর্মী আহত হন। ওই সময়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২২ জনকে আটক করে। ওই দিন রাতেই হাজীগঞ্জ থানার এসআই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ১৮৬ জনকে নামীয় ও অজ্ঞাত ৩৫০ নেতাকর্মীকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

মামলার আসামি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জি. মমিনুল হকসহ অধিকাংশ নেতাকর্মী জামিনে রয়েছেন বলে জানান যুবদলের নেতৃবৃন্দ। তাদের দাবি, আগামী ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ এ ধরপাকড় করছে।

তবে হাজীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গত ২৯ অক্টোবর দায়ের করা মামলার আসামি হিসেবে ১০ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

জেলা বিএনপির নিন্দা

১০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে জেলা বিএনপি। এক প্রতিবাদলিপিতে দলটি দাবি করে, কোনও কারণ ছাড়াই গত ২৩ নভেম্বর গভীর রাতে হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইমাম হাজী সহ পৌর বিএনপি এবং যুবদলের মোট ১০ নেতাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ও সাধারণ সম্পাদক সলিমউল্লাহ সেলিম। তারা গ্রেফতার নেতাকর্মীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর বিকালে উপজেলা ও পৌরসভা যুবদলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালিটি অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হয়ে হাজীগঞ্জ বাজারের দিকে আসে। এরপর হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজারের হাজীগঞ্জ সেতুর সামনে গেলে যুবদলের কিছু উশৃঙ্খল কর্মী দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৪ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও আট রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে যুবদলের ইট-পাটকেলের আঘাতে পুলিশের পাঁচ সদস্য এবং শর্টগানের গুলি ও টিয়ারশেলের আঘাতে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। এ সময় পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে।