ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধান লুটের অভিযোগ

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর বাদাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জসিমের বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে চার একর জমির আড়াইশ’ মণ আমন ধান লুটের অভিযোগ উঠেছে। 

এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুরের কমলনগর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী অঞ্চল আদালতে মামলা করেছেন জামেনারা আক্তার (৪১) নামে এক নারী। তিনি কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ডা. সৈয়দ জাকির হোসেনের স্ত্রী। 

গত ১৫ ডিসেম্বর ইউপি চেয়ারম্যান জসিমসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ৩০ জনের নামে মামলা করেন জামেনারা। মামলায় চেয়ারম্যানকে ৫ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

আদালত মামলাটি কমলনগর থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. সোলায়মান। 

চেয়ারম্যান ছাড়াও ধান লুটের মামলার অন্য আসামিরা হলেন—চেয়ারম্যানের বড় ভাই নুরুল আমিন (৫৫), তার ছেলে ইফতেখার হোসেন শাওন (২৮), ভাতিজা আদনান আমিন (৩০), ফরহাদ হোসেন (৪৫), অজি উল্যা (৪৫), খোরশেদ আলম (৪০), নোমান পাটওয়ারী (৩২), চাঁন মিয়া (৫০), আব্দুর রহমান (৪৫), মো. সফি উল্যাহ (৪৫), শাহজাহান (৫০) ও জুয়েল (৩০)। তারা রমাগতি উপজেলার চর বাদাম ইউনিয়নের চর সীতা এবং কমলনগর উপজেলার চর লরেন্স এলাকার বাসিন্দা।  

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ ডিসেম্বর রাতে চেয়ারম্যান জসিম ও তার বড় ভাইয়ের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা তোরাবগঞ্জ মৌজার নামজারী জমাখারিজ ২৬৮৩ নম্বর খতিয়ানভুক্ত এলাকার ৪ একর ৪৫ শতাংশ জমিতে থাকা ২৫০ মণ আমন ধান কেটে নিয়ে যায়। ধানগুলোর বাজার মূল্য প্রায় আড়াই লাখ টাকা বলে উল্লেখ করেছেন বাদী।

এর আগেও গত বছরের ২৭ জানুয়ারি চেয়ারম্যান জসিম ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধে ছাগল চুরি ও মাছ লুটের অভিযোগে আদালতে মামলা করেন জুলফিকার আলী নামে তার এক ভাতিজা।  

জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জসিম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ধান লুটের অভিযোগ মিথ্যা। কে বা কারা ধান কেটে নিয়েছে তা আমার জানা নেই।’
 
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আদালতে একটি সিআর মামলা হয়েছে। মামলার এজাহার থানায় এসেছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।’